স্পোর্টস ডেস্ক : পুরো ইনিংস কিপিং করার পর গোসল সেরে বিশ্রামের আশায় বসেন লোকেশ রাহুল। কিন্তু দুই ওভার যেতেই দলের করুণ অবস্থায় ডাক পড়ে ব্যাটিংয়ে। সামনে তখন মিচেল স্টার্ক, জশ হেইজেলউডের চ্যালেঞ্জ। তা সামলাতে শুরুতে রাহুলকে ওয়ানডে ম্যাচে টেস্ট ঘরানার ব্যাটিংয়ের পরামর্শ দেন ভিরাট কোহলি।
স্কোর কার্ড বলবে, চেন্নাইয়ে রোববার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫২ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে জিতেছে ভারত। কিন্তু এতে বোঝা যাবে না, স্রেফ ২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কতটা চাপে ছিল স্বাগতিকরা। সেখান থেকে ১৬৫ রানের জুটিতে দলকে জেতান কোহলি ও রাহুল।
অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৯ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর সহজ জয়ই হয়তো দেখছিলেন রাহুল। কিন্তু ইশান কিষান, রোহিত শার্মা, শ্রেয়াস আইয়াররা খালি হাতে ড্রেসিং রুমে ফিরে গেলে বিপদে পড়ে যায় ভারত। অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়া দেখে উইকেট সম্পর্কে ধারণা নেন কোহলি। সেটি পরে রাহুলকেও জানান ভারতের সাবেক অধিনায়ক।
শুরুর বিপর্যয়ের পর তাড়াহুড়ো না করে সময় নিয়ে এগোতে থাকেন দুই ব্যাটসম্যান। দুজনই করেন ফিফটি। কোহলি ৮৫ রান করে ফিরে যান, তবে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন রাহুল। প্যাট কামিন্সের বলে ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিতের পর ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন কিপার-ব্যাটসম্যান। জেতেন ম্যাচ সেরার স্বীকৃতি।
পরে পুরস্কার নিতে এসে কোহলির সঙ্গে জুটির শুরুর সময়ের কথোপকথন জানান রাহুল।
“সত্যি বলতে আমাদের খুব বেশি কথা হয়নি। তখন মাত্রই গোসল করার পর আমি স্থির হওয়ার চেষ্টা করছিলাম। ভেবেছিলাম আধ ঘন্টা বা এক ঘণ্টার একটা বিরতি পাব। যাতে বিশ্রাম নিতে পারব। কিন্তু খুব দ্রুতই আমাকে নেমে যেতে হয়। যে কারণে একটু তাড়াহুড়ো ছিল। আমি স্থির হওয়ার চেষ্টা করছিলাম।”
“ভিরাট তখন আমাকে বলে যে, উইকেটে অনেক সাহায্য রয়েছে এবং আমাদের যথাযথ শট খেলতে হবে। আগে কিছুক্ষণ টেস্ট ক্রিকেটের মত খেলতে হবে এবং দেখতে হবে বিষয়টা কেমন দাঁড়ায়। তো এটিই মূলত পরিকল্পনা ছিল এবং খুব খুশি যে আমরা দলের জন্য কাজটি করতে পেরেছি।”
জয়ের আনন্দের মাঝেও একটু আফসোস সঙ্গী হয়েছে এই কিপার-ব্যাটসম্যানের। জিততে দরকার যখন ৫, শতক থেকে ৯ রান দূরে ছিলেন তিনি। তিন অঙ্ক ছুঁতে একটি চারের পর তাকে মারতে হতো ছক্কা।
প্যাট কামিন্সকে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে বাউন্ডারিই মারতে চেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু টাইমিং এতটাই ভালো হয় যে, ছক্কা হয়ে যায়। তখন তার অভিব্যক্তিতে ফুটে উঠে বিস্ময়।
ম্যাচ শেষে ওই সময়ের ঘটনার ব্যাখ্যা দেন রাহুল।
“আমি ওই বলে বেশিই ভালো শট মেরেছিলাম। শেষ দিকে আমি হিসেব করেছিলাম, কীভাবে সেঞ্চুরি হতে পারে। একমাত্র উপায় ছিল, একটি চার মেরে তারপর ছক্কা মারা। তবে সেঞ্চুরি না পাওয়ায় আমার তেমন আপত্তি নেই।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।