মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দূর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ২শীর্ষ নেতার মধ্য দিয়ে। দেশের মানুষ অনেকটা মরা নদীতে জোয়ার পেয়েছিলেন।
চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র চলছিল এই আলোচনা। সে যেন এক অন্যরকম অনুভূতি। দেশের জন্য ত্যাগী মানুষগুলো তো খুশির চোটে কথায় কথায় কাঁদছিলেন।
একে একে ধরা পড়ছিল যুবলীগের ক্যাসিনো দূর্নীতি। ধরা পড়ছিল দূর্নীতিগ্রস্থ নেতারা যদিওবা রাঘববোয়ালরা আড়ালেই আছে। তবুও কিছুটা সন্তুষ্টি ছিল। আমরা টেলিভিশন, পত্রিকা, অনলাইন নিউজ দেখে নতুন সকালকে স্বাগতম জানাতে অপেক্ষা করছিলাম।
তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর “মুই কি হনুরে” আরও দৃঢ় করে তুলেছিল আমাদের। আমরা বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়েছিলাম হাত উঁচু করে বলেছিলাম “জয় বাংলা”।
দাঁড়ানো থেকে হঠাৎ করে আবার পড়ে গিয়েছি!!! আবরার হত্যা আমাদের গোটা দেশকে হ্যাচকা টান দিয়ে ফেলে দিয়েছে। সোনার ছেলেরা (ছাত্রলীগ ) কি নির্মমভাবে ছেলেটাকে পিটিয়েছে!!! আহা কি প্রশান্তি, মেরে দিয়েছি ঠিক যেমন করে কোটা আন্দোলনে, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে আবার ভোটের আগের রাতে(৩০শে ডিসেম্বর) জনগনের অধিকার মেরেছিলাম সেইভাবে। বুঝেছেনতো আপা আমরা কি হনু???
লেখক: তনিমা শরীফ, নারী বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ জাসদ।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।