Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home দাজ্জাল সম্পর্কে ইসলামসহ বিভিন্ন ধর্ম থেকে কী জানা যায়?
    ধর্ম শিক্ষামূলক গল্প

    দাজ্জাল সম্পর্কে ইসলামসহ বিভিন্ন ধর্ম থেকে কী জানা যায়?

    Soumo SakibApril 4, 20248 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাজ্জাল নিয়ে বিস্তর আলোচনা দেখা যায়। ধর্মগ্রন্থ থেকে বিভিন্ন বাণী ও কাহিনী শেয়ার করেন অনেকে। ইসলামের এই ‘মসিহ আল দাজ্জাল’ কিংবা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের আলোচিত ‘অ্যান্টিক্রাইস্ট’ এর আগমন ও ভূমিকা নিয়ে বিতর্কও চোখে পড়ার মতো।

    সেসব আলোচনা ও বিতর্কের প্রেক্ষাপট অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন সাজিয়েছে বিবিসি বাংলা। সেই প্রতিবেদনটিই এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো-

    ঐতিহাসিক দলিল, ইতিহাস বিশারদ ও বিশেষজ্ঞদের মতামত জানার আগে, ‘দাজ্জাল’ ধারণাটির উৎপত্তি সম্পর্কে খোঁজখবর করা যাক।

    খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের শেষের দিকে কয়েকটি ঘটনা ইহুদিদের হতবিহ্বল করে ফেলেছিল। ব্যাবিলনীয়দের জেরুজালেম দখল, সলোমনের মন্দির ধ্বংস এবং এর ধারাবাহিকতায় ইহুদিদের নির্বাসন।

       

    অনেকে এই ঘটনাগুলোকে একটি দুর্ভাগ্যের নিদর্শন হিসেবে চিহ্নিত করেন। ব্যাখ্যা করেন এভাবে যে, গড অব ইসরায়েল (ইসরায়েলিদের ঈশ্বর, যিহোবা) তাদের পরিত্যাগ করেছেন। শাস্তি হিসেবে তাদের পবিত্র উপসনালয় ধ্বংস হয়েছে এবং তারা প্রতিশ্রুত ভূমি থেকে উৎখাত হয়েছেন।

    কিন্তু, যিহোবা তাদের ওপর চিরকাল ক্ষুব্ধ হয়ে থাকবেন না, সাময়িক শাস্তির পর তারা পরিত্রাণ পাবেন, এই বিশ্বাসও ছিল ইহুদিদের। মসিহ হিসেবে কোনো রাজা আসবেন, যার অধীনে নবজাগরণ ঘটবে তাদের।

    ইহুদি বিশ্বাস অনুযায়ী, ডেভিডের বংশানুক্রম থেকেই একজন পরাক্রমশালী রাজার আবির্ভাব হবে।

    সেই রাজা বিশ্বে ইহুদি শাসন পুনঃস্থাপন করবেন বলে আশা তাদের।

    যে প্রভাবশালী রাজা ও নবীর ওপর সা’ম (ইহুদি প্রার্থনা সঙ্গীত) নাজিল হয়েছিল, নতুন রাজাও তেমনই হবেন।

    সাইয়েদ মুহাম্মাদ ওয়াকাসের গবেষণা থেকে জানা যায়, এই বিশ্বাসের ভিত্তি এসেছে নবী দানিয়েলের কাছ থেকে। ইহুদিদের ব্যবিলনে নির্বাসিত থাকার সেই কালে তিনি একটি গ্রন্থ রচনা করেন।

    দানিয়েলের ওই রচনা বর্তমান বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টের অংশ। এর একটি অনুচ্ছেদ ‘নেভিম’। হিব্রু নেভিম অর্থ নবী। অনুচ্ছেদটিতে সেই সময়কালের আগের ও পরের নবীদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

    এতে লেখা আছে: “রাতে স্বপ্নে দেখলাম, আমার সামনে এক মানবসন্তান দাঁড়িয়ে, তাকে ঘিরে আছে স্বর্গীয় মেঘমালা।

    তিনি ঈশ্বরের (যিহোবা) সন্নিকটে গেলেন। তাকে ভূষিত করা হলো মর্যাদা ও কর্তৃত্বে। স্রষ্টার রাজত্বের সবকিছু তার ওপর ন্যস্ত করা হলো।

    সকল ভাষা, সকল জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা তার অধীনস্ত। চিরস্থায়ী তার শাসনকাল।”

    ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার পর যিশুর পুনরুত্থান হবে এমন বিশ্বাস ‘গসপেল’(খ্রিস্টান ধর্মকথা) এবং নিউ টেস্টামেন্টের (বাইবেলের একাংশ) অন্যান্য বইয়েও লিপিবদ্ধ আছে।

    সাইয়্যিদ মুহাম্মদ ওয়াকাস বাইবেলের শেষ পুস্তক, জন’স্ রিভেলেশন বা বুক অব রিভেলেশন থেকে উদ্ধৃত করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, “যিশু খ্রিস্টের তরফে, যিনি বিশ্বস্ত সাক্ষী, মৃতদের মধ্য থেকে প্রথম জন্ম লাভকারী এবং পৃথিবীর রাজাদের শাসক।”

    মুসলমানরাও যিশুর পৃথিবীতে আবার ফিরে আসার ধারণাটিতে বিশ্বাস রাখেন।

    নিউ টেস্টামেন্টের শেষের দিকে লেখা অন্য একটি অনুচ্ছেদে বলা আছে: “এ জগত আমাদের প্রভু এবং তার খ্রিস্টের রাজ্যে পরিণত হবে এবং তিনি চিরকালের জন্য রাজত্ব করবেন।”

    অতএব,উভয় ধর্মের অনুসারীরাই পৃথিবীর শেষ সময়ের আগে মেসিয়ানিক যুগ বা মসিহ’র আগমনের প্রত্যাশা করেন।

    তবে, হাদিসের ওপর নির্ভর করে অধিকাংশ মুসলিম পণ্ডিত বিশ্বাস করেন, কেয়ামতের আগে যিশু ফিরে আসবেন ইসলামের নবীর অনুসারী হিসেবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে অবস্থিত গামিদি সেন্টার অফ ইসলামিক লার্নিং-এর গবেষক গবেষক নাঈম আহমেদ বালুচ জানাচ্ছেন এমন তথ্য।

    তবে, ইবনে খালদুনের মতো দুয়েকজন ইসলাম বিশারদ, যিশুর দ্বিতীয় আগমন সম্পর্কে সন্দিহান।

    যিশু খ্রিস্টের প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে ইহুদি, খ্রিস্ট এবং ইসলাম ধর্মের অভিমতগুলো তো জানা হলো। এবার, অ্যান্টিক্রাইস্ট বা দাজ্জালের ধারণার দিকে আসা যাক।

    খ্রিস্টের ঠিক বিপরীত অ্যান্টিক্রাইস্ট; চূড়ান্ত শত্রুও। খ্রিস্টীয় ঐতিহ্য অনুসারে, শেষ বিচারের পূর্ববর্তী সময়টাতে তার এক ভয়ানক রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে।

    রবার্ট ই. লার্নার নামে একজন গবেষক এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার জন্য গবেষণা করতে গিয়ে দেখেন, অ্যান্টিক্রাইস্ট শব্দটি প্রথম উল্লেখ করা হয় জন’স রিভেলেশনে। জন’স রিভেলেশন বাংলাভাষী খ্রিস্টানদের কাছে সাধু জন বা যোহনের সুসমাচার নামেও পরিচিত।

    আর, তার জীবন ও রাজত্বের বর্ণনা মেলে মধ্যযুগীয় গ্রন্থগুলোতে।

    লার্নার বলেন, “খ্রিস্টানদের মধ্যে দাজ্জাল-এর ধারণাটি এসেছে ইহুদি ধর্মশাস্ত্র থেকে। বিশেষ করে হিব্রু বাইবেলের দ্য বুক অব দানিয়েল থেকে এর উৎপত্তি।”

    খ্রিস্টপূর্ব ১৬৭ সালের দিকে লেখা বইটিতে, এক চূড়ান্ত অত্যাচারীর আগমনের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

    “যিনি সময় এবং বিধি-বিধান পাল্টে দিতে চেষ্টা করবেন। ঈশ্বরের বিরুদ্ধাচারণ করবেন, হামলে পড়বেন বিশ্বাসীদের ওপর।”

    পণ্ডিতরা একমত যে ড্যানিয়েলের লেখায় ফিলিস্তিনের তৎকালীন হেলেনিস্টিক শাসক, অ্যান্টিওকাস চতুর্থ এপিফেনাসের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছিল, যিনি ইহুদি ধর্মকে নির্মূল করার চেষ্টা করেছিলেন।

    কিন্তু অ্যান্টিওকাসের নামের উল্লেখ না থাকায়,পরবর্তীতে যে কোনো অত্যাচারীর জন্যই ড্যানিয়েলের ভবিষ্যদ্বাণীটি প্রযোজ্য।

    “শুরুর দিকের খ্রিস্টানরা এটিকে রোমান সম্রাটদের বেলায় ব্যবহার করত,” বলেন লার্নার।

    কারণ তারা গির্জাগুলোর ওপর খড়গহস্ত ছিল। বিশেষ করে ৫৪ থেকে ৬৮ খ্রিস্টাব্দে রাজত্ব করা নিরোর কথা উল্লেখ করেন লার্নার।

    “সেই সময়কার খ্রিস্টানরা এক প্রতাপশালী অ্যান্টিক্রাইস্টের আগমনের কথাই জোর দিয়ে বলতেন।

    জন’স রিভেলেশন বা রিভেলেশন টু জন-এ যাকে “অতল থেকে উঠে আসা পশু” এবং “সমুদ্র থেকে উঠে আসা পশু” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

    তার আবির্ভাবের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বিবরণ, নিউ টেস্টামেন্টের থিসালোনিয়ানস যেখানে তাকে “পাপের মানুষ” এবং “ধ্বংসের পুত্র” আখ্যায়িত করা হয়েছে।

    সাধারণের মধ্যে যখন ধর্মত্যাগের প্রবণতা বেড়ে যাবে তখন তার আগমন ঘটবে। বিভিন্ন ইঙ্গিতপূর্ণ এবং বিস্ময়কর ঘটনার ছলনায় ফেলবেন মানুষকে। তারপর, ঈশ্বরের মন্দিরে গিয়ে বসবেন এবং নিজেকেই ঈশ্বর বলে দাবি করবেন।

    শেষ পর্যন্ত,যিশুর কাছে পরাজিত হতে হবে তাকে।

    যিশুর “মুখমণ্ডলের জ্যোাতির্ময় তেজ” এবং “তার আবির্ভাবের উজ্জ্বলতায়” ধ্বংস হবেন অ্যান্টিক্রাইস্ট।

    অ্যান্টিক্রাইস্টের প্রতি মধ্যযুগীয় দৃষ্টিভঙ্গি জানা যায়, অ্যাডসো, রিপেলিন এবং অন্যান্য লেখকদের রচনা থেকে। মূলত ওই বার্তাটিই প্রকাশিত হয়, তিনি খ্রিস্টের বিপরীতে এক মিথ্যার নাম।

    তাদের থেকে লার্নার এই উপসংহারে আসেন, “খ্রিস্ট বা ক্রাইস্টের মতো অ্যান্টিক্রাইস্টের অনেক অনুসারী হবে। নানা অলৌকিক কর্মকাণ্ড করে তাদের মোহাবিষ্ট করে রাখবেন তিনি।”

    তার রাজত্ব স্থায়ী হবে সাড়ে তিন বছর।

    মধ্যযুগীয় তথ্যসূত্রগুলোর বয়ান অনুযায়ী, “খ্রিস্টের মতো, অ্যান্টিক্রাইস্টও জেরুজালেমে আসবেন।

    কিন্তু,তার বেলায় যিশুর সাথে যা ঘটেছিল তার উল্টোটা ঘটবে। তার আগমনে উচ্ছসিত হয়ে ইহুদিরা তাকে সমাদর ও সম্মানিত করবেন।”

    “শাসনভার গ্রহণের পর তিনি সেই মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করবেন এবং সলোমনের সিংহাসনে আরোহণ করবেন।

    পৃথিবীর শাসকেরা তার প্রতি আনুগত্য জানাবে। তাদেরকে নিজ উদ্দেশ্যসাধনে ব্যবহার করবেন তিনি।

    ভয়াবহ নিপীড়ন চালাবেন খ্রিস্টানদের ওপর। পৌরহিত্য এবং রাজত্বে ন্যায়পরায়ণতার উল্টো পিঠ দেখবে সবাই।”

    যারা তাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করবেন অত্যাচারের শিকার হবেন তারাও।

    গসপেল অব ম্যাথিউ (মথি লিখিত সুসমাচার) থেকে জানা যায়, যিশু ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তখন “মহা দুর্ভোগ নেমে আসবে,যা পৃথিবীর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত হয়নি।”

    “যাই হোক না কেন, নির্ধারিত সাড়ে তিন বছর শেষে, খ্রিস্টের শক্তির দ্বারা ধ্বংস হবে অ্যান্টিক্রাইস্ট। তারপর, অল্প সময়ের ব্যবধানে আসবে শেষ বিচারের দিন ও বিশ্বের শেষ দিন।”

    পরবর্তী সময়ে, খ্রিস্টের বিরুদ্ধে যায় এমন যেকোনো কিছুকেই অ্যান্টিক্রাইস্ট হিসেবে সাব্যস্ত করার একটা প্রবণতা তৈরি হয় বলে জানান মি. লার্নার।

    এমনকি হাল আমলে ক্রেডিট কার্ড বা ইলেকট্রনিক বারকোডে ৬৬৬ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিরীহ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অ্যান্টিক্রাইস্ট ভেবে থাকেন কেউ কেউ। কারণ, বাইবেলে এটিকে সেই শয়তানের সংখ্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    গত বছরের জুনে বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, পোল্যান্ডে ৬৬৬ বলে পরিচিত একটি বাসরুটের কোড পরিবর্তন করে ৬৬৯ করা হয়েছে ধর্মীয় রক্ষণশীলদের অভিযোগের কারণে।

    ইসলামে দাজ্জালকে কেয়ামতের ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হয় বলে মত নাঈম আহমেদ বেলুচের।

    জাভেদ আহমাদ ঘামিদি নামে একজন ইসলামি পণ্ডিত এবং গবেষক, তার ‘মিজান’ বইতে ‘দাজ্জাল’ শব্দটিকে একটি নামবাচক বিশেষণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন।

    “যা ব্যাপকভাবে প্রতারণা, প্রতারণা এবং প্রতারণাকেই নির্দেশ করে।”

    ‘আল-মসিহ আদ-দাজ্জাল’ নামেও আখ্যা দেয়া হয় তাকে।

    যার অর্থ দাঁড়ায়, যিশুর প্রত্যাবর্তনের আগে কেউ একজন নিজেকে যিশু বলে মিথ্যা দাবি তুলবেন।

    ইহুদি, খ্রিস্টান এবং মুসলমানদের মধ্যে মসিহ’র আগমনের প্রত্যাশাকে কাজে লাগিয়ে, তিনি কৌশলে মানুষকে প্রতারিত করবেন।

    কিছু হাদিসে বলা হয়েছে, দাজ্জালের এক চোখ অন্ধ হবে। বিশ্বাসীরা তার ছলনা স্পষ্টই বুঝতে পারবেন এবং তাকে একজন ‘কাফের’ হিসেবেই গ্রহণ করবেন।

    ইসলামিক পণ্ডিত ওয়াহেদ-উদ-দীন খানের মতে, দাজ্জাল বলতে এমন একজন প্রতারককে বোঝায় যে মানসিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক উপায়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে, অনন্য গুণসম্পন্ন ব্যক্তি হওয়ার পরিবর্তে যে বিভেদ সৃষ্টি ও অপকর্ম করে বেড়াবে।

    মাসিক পত্রিকা আল-রিসালায় তিনি লিখেছেন, দাজ্জাল সহিংসতার মাধ্যমে তার লক্ষ্য অর্জন করবে না।

    “প্রতারণা শক্তির মাধ্যমে নয়, বুদ্ধির মাধ্যমে কাজ করে। তাই, দাজ্জাল জ্ঞান এবং প্ররোচনামূলক যুক্তি ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করবে।”

    ডক্টর মুহাম্মদ আমীর গাজদার ‘কিয়ামতের আলামত’ প্রসঙ্গে নবী মুহাম্মদের কিছু হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে দাজ্জাল সম্পর্কে লিখেছেন, “আর কেউ নেই যে মানুষের উপর দাজ্জালের চেয়ে বেশি আধিপত্য বিস্তার করতে পারে।”

    দাজ্জালের চেহারার বর্ণনায় বলা হয়েছে “তার কপাল চওড়া হবে, চুল কোঁকড়ানো এবং চোখ থাকবে একটি। অন্য চোখটি ফোলা আঙুরের মতো বেরিয়ে থাকবে। প্রশস্ত বক্ষের অধিকারী হবেন দাজ্জাল।”

    “তার আচার-আচরণ হবে খুবই কুৎসিত। সেসবের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে প্রতারণার মধ্য দিয়ে।”

    “বিশ্বাস করা হয় দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে খোরাসানে। অঞ্চলটির বিস্তার ইরাক থেকে ভারতের সীমানা পর্যন্ত ধরা হয়, যার মধ্যে ইসফাহানও অন্তর্ভুক্ত।”

    ব্রিটানিকার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান ইরানের উত্তর পূর্বাঞ্চল, তুর্কমেনিস্তানের দক্ষিণাঞ্চল ও আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা ঐতিহাসিকভাবে খোরাসান হিসেবে বিবেচিত হতো।

    “তার অনুসারীদের মুখমণ্ডল হবে ইয়াজুজ-মাজুজের মতো চওড়া।”

    “দাজ্জাল পূর্ব দিক থেকে তার গন্তব্য মদিনায় পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন। কিন্তু, উহুদ পর্বত পর্যন্ত পৌঁছানোর পর তাকে থামতে হবে। পর্বতের প্রতিবন্ধকতায় আর সামনে এগোতে পারবেন না।

    পরবর্তীতে, ফেরেশতারা তার গতিপথ পাল্টে সিরিয়ার দিকে নিয়ে যাবেন। যেখানে তার অন্তিম পরিণতি ঘটবে।”

    “এ কারণে, নবী মুহাম্মদ দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিস্তার পেতে আল্লাহর আশ্রয় চেয়েছিলেন এবং তার উম্মতদেরও (বিশ্বাসী সম্প্রদায়) একই রকম প্রার্থনা করতে উৎসাহিত করেছেন।”

    নাঈম বালুচের ভাষ্য, অনেক মুসলিম ঐতিহ্যের মূল বিশ্বাস হলো, দাজ্জাল যখন শেষ বিচার বা কেয়ামতের কাছাকাছি সময়ে আবির্ভূত হবেন, তখন যিশু (মুসলমানদের কাছে ঈসা নবী) তাকে পরাজিত করবেন।

    মুসলমানরা একে অন্য সব ঐশ্বরিক ধর্মের ওপর তাদের একটা বিজয় হিসেবে দেখে।

    ইহুদি ধর্মের অনুসারীদের মতে, তখন ‘অধার্মিক’ রাজার রাজত্বের অবসান ঘটবে।

    বুক অব দানিয়েলে বলা হয়েছে: “এর পরের ঘটনাগুলো ঐশ্বরিকভাবে ফয়সালা হবে এবং ওই রাজার আধিপত্য কেড়ে নেওয়া হবে।”

    “তার সাম্রাজ্য সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে, এবং তারপরে, ঈশ্বরের পবিত্র মানুষেরা এই রাজ্য পরিচালনা করবে।”

    নাঈম বালুচ বলেন, খ্রিস্টানদের মতে, অ্যান্টিক্রাইস্টের পরাজয়ে নিরঙ্কুশ হবে খ্রিস্টের চিরন্তন শ্রেষ্ঠত্ব।

    “অসংখ্য খ্রিস্টান পণ্ডিত ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠা এবং এই অঞ্চলে এর আধিপত্যকে সেই ধর্মীয় ভবিষ্যদ্বাণীর পরিপূর্ণতা হিসেবেই ব্যাখ্যা করে থাকেন। মুসলমানরাও সাধারণত ঐতিহ্যগতভাবে একই ধারণা পোষণ করেন।”

    ছবিটি জুম করে দেখুন লুকিয়ে রয়েছে একটি পাখি, চ্যালেঞ্জ রইল খুঁজে বের করার

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ইসলামসহ কী? গল্প জানা থেকে দাজ্জাল ধর্ম বিভিন্ন যায়! শিক্ষামূলক সম্পর্কে
    Related Posts
    সফলতা

    সফলতা অর্জনের জন্য চেষ্টা, ধৈর্য ও আল্লাহর ওপর ভরসা অপরিহার্য

    September 18, 2025
    ভুল

    ভুল করা মানবীয়, কিন্তু স্বীকার করা মহৎ গুণ

    September 15, 2025
    জিহাদ

    পেশাগত কাজ কীভাবে ইবাদত ও জিহাদে রূপ নেয়

    September 14, 2025
    সর্বশেষ খবর
    DaBaby Faces Backlash Over Controversial Song Lyrics

    DaBaby Faces Backlash Over Controversial Song Lyrics

    Herbert Scoville Jr. Peace Fellowship

    How to Apply for the Fully Funded Scoville Peace Fellowship 2026

    Why MultiStar Is a Must-Have Good Lock Module

    Why MultiStar Is a Must-Have Good Lock Module

    judge orders mahmoud khalil deported

    Judge Orders Mahmoud Khalil Deported: Activist Faces Removal to Syria or Algeria

    Lance Twiggs's Reaction to Charlie Kirk Case Revealed in Texts

    Lance Twiggs’s Reaction to Charlie Kirk Case Revealed in Texts

    What Would Happen If the African Continent Splits?

    What Would Happen If the African Continent Splits?

    M3 Ultra Mac Studio macOS Tahoe update issue

    macOS Tahoe Update Delayed for M3 Ultra Mac Studio Users

    Why Steal a Fish Is Facing Admin Abuse Allegations

    Why Steal a Fish Is Facing Admin Abuse Allegations

    Storm Force Decisive WNBA Finals Game 3 With 86-83 Victory Over Aces

    Storm Force Decisive WNBA Finals Game 3 With 86-83 Victory Over Aces

    NYT Strands Hints

    NYT Strands Hints and Answers for September 18, 2025: Theme, Spangram, and Puzzle Guide

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.