আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বছর দুয়েক আগের সেই দিনটা আজও ভুলতে পারে না লখনউয়ের বাসিন্দা ১৫ বছরের নীতু। সে বলে, ‘সেই দিন বালু আড্ডার বস্তি থেকে বাড়ি ফিরছিলাম।
হঠাত্ই দুটি মেয়ে এসে আমার সঙ্গে কথা বলল। ওরা আমায় নিয়ে গেল বাঙালি (বিজয় বদ্রি)-র কাছে। সেই দাদা আমায় চিকেন খেতে দিল। নতুন জামা দিল। আমি গরিব ঘরের মেয়ে। কী ভাবে এই লোভ সংবরণ করি?’ নীতু দেখে তার মতোই আরও অনেককে এ সব দেওয়া হচ্ছে। বাঙালি নামক লোকটিকে সহৃদয় সমাজসেবী বলেই তার মনে হয়েছিল। কিন্তু সেই ধারণা যে একেবারেই ভ্রান্ত, তা পরিষ্কার হয়ে গেল দিন দুয়েক পরেই।
পরের দুদিনও মেয়েটিকে এ সব দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। বৃহস্পতিবার আরপিএফ-এর হাতে উদ্ধার হওয়ার পর নীতু জানিয়েছে, ‘পরের বার আমার খাবারে মা’দক মিশিয়ে দেয় বাঙালি। সে আমায় ধ’র্ষণ করে কয়েকদিন বন্দি করে রাখে। তারপর ঠেলে দেয় যৌ’নপল্লীতে। লোকেদের থেকে টাকা নিয়ে আমায় তাদের সঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া হত।’
বহুবার পালাবার চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। ধরা পড়ে গিয়ে বেধড়ক মার খেতে হয়েছে নীতুকে। তার মতো একই অবস্থা আরও গরিব শিশুদের। উদ্ধার হওয়া ১৪ বছরের নীলেশ জানায়, ‘কাজের খোঁজে লখনউতে এসেছিলাম। কিন্তু দাদা আমায় ফাঁসিয়ে ভিখারি আর চোর বানিয়ে দিয়েছে।’ সূত্র : এই সময়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।