জুমবাংলা ডেস্ক : বায়ুদূষণ রোধ ও তীব্র তাপপ্রবাহে শহরকে ঠান্ডা রাখতে নগরীতে স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’র ব্যবস্থা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সংস্থাটির চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে এ ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’র ব্যবস্থা করা হয়। যদিও দাবদাহের সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে এ পানি ছিটানোর উদ্যোগ অসম্পূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান।
শনিবার (১১ মে) ঢাকার এফডিসিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি আয়োজিত ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিযোগিতার আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হিট অফিসার নিয়োগের কোনো পরিকল্পনা নেই। তীব্র দাবদাহে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে পানি ছিটানোর উদ্যোগ অসম্পূর্ণ। জল কামানে পানি ছিটানো যথেষ্ট নয়, এটি আরও সায়েন্টিফিক ওয়েতে করতে হবে। বিল্ডিং কোড না মেনে অপ্রয়োজনীয় কাচের ব্যবহার ভবনে অতি তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। অনেক শিক্ষিত ব্যক্তিরাও আইন না মেনে মনমতো ঘরবাড়ি তৈরি করে নিজের ঘরকে নিজেই মৃত্যু ফাঁদে পরিণত করছে। তাই আইন মানার জন্য প্রয়োজনে আরও কঠোর আইন করতে হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেছেন, সাম্প্রতিক দাবদাহকে দুর্যোগ হিসেবে পরিগণিত করা হয়েছে। যে কোনো দুর্যোগে মৃত্যু ও হতাহতের জন্য ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা অর্থসহায়তা প্রদান যথেষ্ট নয়, এটি বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। এবারে হিট স্ট্রোকে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা করা হচ্ছে। অতিমাত্রায় গরমের কারণে যারা কর্মহীন হয়েছে, তাদের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনা হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, চলতি বছর হিট স্ট্রোকে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সঠিক কোনো হিসাব সরকারের কাছে নেই। তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের ব্যাপারেও তেমন কোনো তথ্য নেই। বর্তমান বাস্তবতায় দুর্যোগজনিত কারণে মারা যাওয়া অসহায় ব্যক্তিদের পরিবারকে অন্তত ৩ লাখ টাকা প্রদান করা উচিত। প্রতি বছর অতি তাপমাত্রায় ২.৭ বিলিয়ন ডলারের উৎপাদনশীলতা নষ্ট হয়। অতিমাত্রার গরমের কারণে ২০৩০ সাল নাগাদ শুধু পোশাক খাতে ৬ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে পোশাক খাতসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানার কর্মীরা চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা আশা করব, চলতি বছর আর কোনো উচ্চ মাত্রার দাবদাহ তৈরি হলে সরকার তার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করবে, অতিমাত্রার দাবদাহের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবে।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অতিথিরা। ছবি : কালবেলা
‘অসহনীয় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য অপরিকল্পিত নগরায়ণই দায়ী’ শীর্ষক ছায়া সংসদে সরকারি তিতুমীর কলেজের বিতার্কিকদের পরাজিত করে ঢাকা কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক ইফতেখার মাহমুদ, ফালগুনী রশীদ, দিপক কুমার আচার্য ও আতিকুর রহমান। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কর্মদক্ষ যুবসমাজের বিকল্প নেই : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।