আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বেশ কয়েকদিন ধরেই অস্ট্রেলিয়ায় নজিরবিহীন দাবানলের ঘটনা বিশ্ব মিডিয়ার আকর্ষণে রয়েছে। তবে এর ভেতরেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন তখন পরিবার নিয়ে অবকাশ যাপনে গেলেন। ব্যাপক সমালোচনার মুখে হাওয়াইয়ে নিজের অবকাশ কাটছাঁট করে অবশেষে দেশে ফিরেছেন তিনি। এদিকে দাবানলের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে ইতিমধ্যে দুই অগ্নিনির্বাপক কর্মী নিহত হয়েছেন। যার ফলে সমালোচনায় আরও জোয়ার দেখা গেলো কাল।
‘ভয়াবহ দাবানলের সময় পরিবারের সঙ্গে আমার অবকাশের প্রভাবে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমি গভীরভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি’ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। আগুন নেভাতে ৩২ বছর বয়সী জিওফ্রে কিটন ও ৩৬ বছর বয়সী অ্যান্ড্রু ওডিয়ার ট্রাকযোগে যাচ্ছিলেন। তখনই তাদের ওপর একটি গাছ ভেঙে পড়ে। উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে তার অবকাশ নিয়ে চাপ বাড়ছিল। কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী অগ্নিনির্বাচন কর্মী আগুন নেভাতে কাজ করছেন। আর সিডনিতে বিষাক্ত ধোঁয়ায় শ্বাসরোধের মুখে পড়ছেন লাখ লাখ অধিবাসী। নিউ সাউথ ওয়েলসে শতাধিক দাবানলের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের। ইতিমধ্যে ভয়াবহ দাবানলের সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানাতে বৃহস্পতিবার মরিসনের কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে দেশের নাগরিকরা। একইসাথে তারা এই দুর্যোগের ভেতর মরিসনের অবকাশ যাপনেরও সমালোচনা করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে ট্রল শুরু হয়েছে। মরিসন বলেন, আমি দাবানলের নিয়মিত হালনাগাদ তথ্য নিতাম। এছাড়া তল্লাশি ও আহতদের চিকিৎসারও খোঁজ খবর নিয়েছি। নিউজিল্যান্ডে আগ্নেয়গিরির উদগীরণ এক অস্ট্রেলীয় নিহত হওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার সকালেও দাবানালের ক্রোধ বাড়ছিল। ধারনা করা হচ্ছে শনিবার অবস্থা আরও গুরুতর হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।