আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে প্রবেশের দাবি করেছে বিদ্রোহীরা। সশস্ত্র বিরোধীদের পক্ষে কথা বলা সামরিক বিষয়ক প্রশাসন এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের বাহিনী রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।”
এদিকে বিদ্রোহীরা দামেস্কের কাছে সেদনায়া কারাগারের সব বন্দীদের মুক্ত করে দিয়েছে। অধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, সরকারী বাহিনী সেখানে থাকা বন্দীদের ওপর ভয়ঙ্কর নির্যাতন চালিয়েছে। বিদ্রোহীরা এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা সেদনায়া কারাগারে অত্যাচারের যুগের সমাপ্তি ঘোষণা করছি।”
সিরিয়ায় হঠাৎ এমন পটপরিবর্তনের পর জাতিসংঘের ত্রাণ প্রধান টম ফ্লেচার বলেছেন, জাতিসংঘ “উদ্বেগের সাথে” পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। এক্সে করা এক পোস্টে তিনি বলেন, সব পক্ষকে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তাদেরকে অবাধে চলাফেরা করতে এবং যেখানেই মানবিক সহায়তার প্রয়োজন, সেখানে সহায়তা দিতে হবে।
সিরিয়ার এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে রাজনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দিয়েছে পাঁচটি আরব দেশসহ ইরান, তুরস্ক এবং রাশিয়া। শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) তারা বলেছে, সিরিয়ায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য একটি রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন। কাতারের রাজধানী দোহায় বৈঠকের পর দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিরিয়া সংকট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
প্রসঙ্গত, গত মাসের শেষে হঠাৎ করেই সিরিয়ার পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। ২৭ নভেম্বর বিদ্রোহীরা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোতে আক্রমণ শুরু করে। পরে গত রোববার (০১ ডিসেম্বর) বিদ্রোহীরা আলেপ্পোর কুর্দি যোদ্ধাদের দখলে থাকা কিছু সংখ্যাগরিষ্ঠ কুর্দি জেলা ছাড়া, বাকি অংশ নিজেদের দখলে নেয়। পরে বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) দেশের চতুর্থ বৃহত্তম শহর হামা দখলে নেয় বিদ্রোহীরা। শুক্রবার (০৭ ডিসেম্বর) সরকার নিয়ন্ত্রিত রাজধানী দামেস্ক ঘেরাও করার জন্য অভিযান শুরু করে তারা। এর মধ্যে রোববার (০৮ ডিসেম্বর) সিরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর হোমসের নিয়ন্ত্রণ দখল করার ঘোষণা দেয় বিদ্রোহীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।