জুমবাংলা ডেস্ক : ভারতে দুই বছর কারাভোগ শেষে সাত বাংলাদেশি তরুণীকে যশোরের বেনাপোলে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বিশেষ ট্রাভেল পারমিট প্রক্রিয়ায় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশে সোপর্দ করে।
তরুণীরা হলেন, যশোর জেলার শিরিনা বিশ্বাস, কুড়িগ্রাম জেলার আঞ্জুমান সুমি, ফরিদপুর জেলার মৌসুমি আক্তার, চট্রগ্রাম জেলার রিয়া আক্তার, শ্রীপুর (মাগুরা) জেলার সোহাগী আক্তার মিম, খাগড়াছড়ি জেলার জাকিয়া আক্তার ও সুনামগঞ্জের সুমা আক্তার।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ইমিগ্রেশনে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আইনি সহায়তা দিতে এসব তরুণীদের জাস্টিস এন্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও সংস্থা গ্রহণ করেছে।
এ সময় তিনি আরো জানান, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির কারণে নিরাপত্তার কথা ভেবে কিশোরীদেরকে যশোর গাজীর দরগায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন রাখা হবে।
পাচারের শিকার তরুণীরা জানান, ভাল কাজ দেওয়ার নাম করে তাদেরকে সীমান্ত পথে ভারতে নেয় দালালরা। পরে পাচারকারীদের খপ্পর থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরছেন তারা।
তরুণীদেরকে গ্রহণকারী এনজিও সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রামার অফিসার এবিএম মুহিত হোসেন জানান, ভাল কাজের প্রলোভনে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে এসব তরুণীরা দুই বছর আগে ভারতে যায়। এ সময় পাচারকারীরা ভাল কাজ না দিয়ে তাদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করে।
খবর পেয়ে ভারতীয় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। পরে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে মামলা দিয়ে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেখান থেকে ভারতীয় একটি এনজিও সংস্থা তাদেরকে ছাড়িয়ে নিজেদের হেফাজতে রাখে। পরে রাষ্ট্রীয় প্রক্রিয়ায় ট্রাভেল পারমিটে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদেরকে আইনি সহায়তাসহ কর্মসংস্থানের বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।