আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আবার গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখা গেল বিজেপি নেতাকে। বিজেপি বলছে, এটা তৃণমূলের কাজ। খবর ডয়চে ভেলের।
নির্বাচনের দিন দুয়েক আগে বিজেপি নেতার মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। দিনহাটার পশু হাসপাতালের সামনে ঝুলতে দেখা গেছে বিজেপি নেতা অমিত সরকারের দেহ।
বিজেপি-র মুখপাত্র দীপ্তিমান সেনগুপ্তের অভিযোগ, তৃণমূল এই কাজ করেছে। ভোটে হারার ভয়ে তারা এই কাজ করেছে। বিজেপি আইটি সেলের প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় বিজেপি-র পর্যবেক্ষক অমিত মালবীয়ও সোচ্চার হয়েছেন।
অতীতে গয়েশপুর, গোঘাট, পিংলা, তুফানগঞ্জে বিজেপি নেতার ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া গেছিল। তখনও তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিল বিজেপি। এখন বিধানসভা ভোটের মুখে আবার এই ঘটনা ঘটল।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও সাবেক সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় বলেছেন, যে কোনও মৃত্যু দুঃখের। কিন্তু আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানি না। যে বিজেপি নেতা অভিযোগ করছেন, পুলিশ তাকে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক।
ঘটনা হলো, নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকে পুলিশ পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কাজ করে। ফলে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সে ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার কমিশনের।
পশ্চিমবঙ্গের ভোট এবার খুবই উত্তেজক। পরপর দুই বার ক্ষমতায় থাকার পর তৃতীয়বার জয়ের জন্য লড়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি-ও পশ্চিমবঙ্গে জিততে মরিয়া। বাম-কংগ্রেস এই প্রথম জোট বেঁধে লড়ছে। সেই জোটে সামিল আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র। সেকারণেই সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে। ভোট কাছে আসতে দেখা যাচ্ছে সহিংসতা বাড়ছে।
তবে ভোটে যাতে সহিংসতা না হয়, তার জন্য সচেষ্ট নির্বাচন কমিশন। প্রচুর পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।