জুমবাংলা ডেস্ক: আমন ধান কাটা ও মাড়াই শেষে জমিতে কৃষকরা চাষ করেছিলেন সরিয়া এবং আলু। সেই ফসল ঘরে তুলতে শুরু করেছেন তারা। এরই মধ্যে শীতকে উপেক্ষা করে অনেক কৃষককেই বোরো চাষাবাদের জন্য বীজতলা তৈরি করে তা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে দিনাজপুরে।
জেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৭৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।
জেলার ১৩ টি উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষে জমিতে আলু আর সরিষা চাষ করেন কৃষকরা। সেই ফসল ঘরে তুলে রসালো ও নিচু জমিতে বোরো ধানের বীজ রোপন করেছেন চাষিরা। এক বিঘা জমির জন্য ৩ কেজি বীজধান বীজতলায় রোপণ করেছেন তারা। প্রায় এক মাস আগে বীজ রোপণ করা হয়েছে। আর মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এসব বীজতলা থেকে চারা তুলবেন কৃষকরা।
চারা বেড়ে উঠার জন্য বোরো চাষিরা বীজতলায় থীওভিট কীটনাশক স্প্রে করছেন। এছাড়াও ইউরিয়া সারও প্রয়োগ করতে দেখা গেছে তাদের।
জেলার হাকিমপুর উপজেলার সাতনী গ্রামের কৃষক রমজান আলী বলেন, বীজতলায় থীওভিট স্প্রে করছি। ১০ বিঘা জমির জন্য এই বীজতলায় ৩০ কেজি বীজধান ফেলা হয়েছে। ২৫ দিন মতো হলো বীজধান ফেলেছি। জমিতে আলু এবং সরিষা দিয়েছি। আলু ও সরিষা কাটা-মাড়াই করে বোরো ধান রোপন করবো।
দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে ১ লাখ ৭৩ হাজার হেক্টর জমিতে বরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। গেলো বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১লাখ ৭১ হাজার হেক্টর। দাম ভালো এবং ফলন বাম্পার হওয়ায় এবার ২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশা করছি এবারও কৃষকেরা তাদের কাঙ্খিত ফসল ঘরে তুলে লাভবান হতে পারবেন।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel