জুমবাংলা ডেস্ক : সাতক্ষীরা শহরতলীর কাশেমপুর জামতলা এলাকায় দিনেদুপুরে ঘরে ঢুকে নিজের বন্ধুকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে সাগর হোসেন নামে এক তরুণের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সালাউদ্দিন হোসেন (১৫) ইজিবাইক চালক ছিল। সে জামতলা এলাকার মালিবাড়ীর শাহজাহান আলী ওরফে বাবুর ছেলে। তাকে হত্যার পর নিজেই এ কথা স্বীকার করে সাগর। সে তার বাবা শহিদুল ইসলামকে গিয়ে বন্ধুকে মেরে ফেলার কথা জানায় এবং মরদেহের খোঁজ দেয় বলে জানা গেছে।
সালাউদ্দিনের বাবা শাহজাহান আলীর বরাত দিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সালাউদ্দিনের বন্ধু সাতক্ষীরা সিটি কলেজ এলাকার সাগর ঘরে ঢুকে তার গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। নিজের বাড়িতে গিয়ে আবার তার বাবা শহিদুল ইসলামকে বিষয়টি জানায়।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে, নিহত সালাউদ্দিন ও তার বন্ধু সাগর দুজনেই ছিল মাদকাসক্ত। তারা মাদক কারবারের সঙ্গেও জড়িত ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপরদিকে একটি ইজিবাইক বেচাকেনা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর কোনো এক কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।
খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কিন্তু সাগর ও তার বাবা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ রসুলপুর গ্রামের রফিক নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। এছাড়া ময়নাতদন্তের জন্য সালাউদ্দিনের মরদেহ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
সালাউদ্দিনের বাবা শাহজাহান আলী বলেন, আমি ইজিবাইক চালাতে শহরে ছিলাম। সালাউদ্দিনের মা বাড়িতে ছিল না। আমার ছেলে বাড়িতে একাই ছিল। সাগর আমার ছেলের খুব কাছের বন্ধু ছিল। সে আমার ছেলেকে গলা কেটে হত্যার পর পালিয়ে যায়। একটা ইজিবাইক কেনাবেচা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছিল শুনেছি। কিন্তু এভাবে আমার ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করবে তা কখনও ভাবিনি। ছেলে হত্যার খবর শুনে শাহজাহান আলী বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হত্যাকাণ্ডের আসল কারণ বের করতে পুলিশ মাঠে নেমেছে। বেশ কিছু ক্ল পাওয়া গেছে। সেসব ক্লু নিয়ে পুলিশ এগোচ্ছে। হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।