চাঁদের নিজের আলো নেই। সূর্যের আলো চাঁদের গায়ে প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে যখন আসে তখন আমরা চাঁদকে দেখতে পাই। দিনের বেলা আমাদের আকাশে সূর্যের তীব্র আলোর কারণে চাঁদ দেখা যায় না। চাঁদের একদিন (অর্থাৎ চাঁদ নিজের অক্ষের ওপর একবার ঘুরতে যে সময় নেয়) পৃথিবীর প্রায় এক মাসের সমান।
পৃথিবী থেকে যখন চাঁদ দেখি – চাঁদের কিছু অংশ প্রতিদিন সরে যায় আমাদের চোখের সামনে থেকে। পৃথিবীর যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা চাঁদ দেখছি, সেখান থেকে চাঁদের যে আলোকিত অংশটি দেখতে পাই সেটাকেই সেই সময়ের চাঁদের একটা নির্দিষ্ট তিথি বলছি। চাঁদ দেখা তাই চাঁদ, পৃথিবী ও সুর্যের পারস্পরিক অবস্থানের উপর নির্ভরশীল।
চাঁদ যখন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে তখন যদি দিনের বেলাতেও চাঁদের উজ্জ্বলতা আকাশের চেয়ে কিছুটা বেশি হয়- তখন চাঁদ দিনের বেলায়ও দেখা যায়।
চাঁদ প্রতিদিন পঞ্চাশ মিনিট দেরিতে ওঠে। শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়ার চাঁদ ওঠে ভোরবেলা, আর অস্ত যায় সন্ধ্যাবেলা, সূর্যাস্তের একটু পর। দিনের বেলায় সূর্যের আলোর কারণে আমরা সেই চাঁদ দেখতে পাই না। কেবল সন্ধ্যায় খুব সামান্য সময়ের জন্য অস্তগামী চাঁদকে দেখতে পাই।
ঈদের চাঁদ ক্ষণস্থায়ী, কারণ ওই চাঁদ আমরা দেখতে পাই অস্ত যাবার কিছুক্ষণ আগে। শুক্লপক্ষের অষ্টমীর চাঁদ ওঠে দুপুরে আর অস্ত যায় মধ্যরাত্রিতে। পূর্ণিমার চাঁদ ওঠে সন্ধ্যাবেলা আর অস্ত যায় সূর্যোদয়ের সময়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।