স্পোর্টস ডেস্ক : যখন একটি দল টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১০৬ রানে অল-আউট হয় এবং দলের পাঁচ ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হন তখন অবশ্যই দলটির খেলোয়াড়দের টেস্ট খেলার দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। ভারতে গিয়ে পরপর দুই টেস্টে এমন নাকানি-চোবানি ও এর আগে ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ের সাথে হার, এই ঘটনাগুলো শুধু খারাপ সময়ের কথা বলে এড়ানোর সুযোগ নেই। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ইন্দোর টেস্টের দল থেকে দুইটি পরিবর্তন নিয়ে পেস ডিপার্টমেন্টের শক্তি বাড়িয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু গোলাপী বলে পর্যাপ্ত প্র্যাকটিস ম্যাচ না খেলা বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপকে টস জেতার পর অধিনায়ক মুমিনুল ঠেলে দিলেন ইশান্ত, উমেশ আর শামির বিষাক্ত সুইংয়ের সামনে।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ধীর গতিতে খেলতে থাকেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলাম ও ইমরুল কায়েস। তবে দলীয় ১৫ রানের মাথায় ইশান্ত শর্মার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল কায়েস। আউট হওয়ার আগে এই ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ৪ রান। এরপর রীতিমতো বিধ্বস্ত বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। অধিনায়ক মমিনুল হক, মোহাম্মদ মিথুন ও মুশফিকুর রহিম এই তিন ব্যাটসম্যান স্কোর বোর্ডে কোন রান না যোগ করেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যায়।
উমেশ যাদবের বলে আউটসাইড এজ হয়েছিলেন মুমিনুল। প্রথম স্লিপে ক্যাচের অপেক্ষায় ছিলেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি কিন্তু দ্বিতীয় স্লিপ থেকে ডান দিকে লাফিয়ে এক হাতে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন রোহিত শর্মা। এর এক বল পরেই সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরেন মোহাম্মদ মিথুন। আর মুশফিক আউট হয় মোহাম্মদ সামির বলে।
টপ-অর্ডার চার ব্যাটসম্যান হারিয়ে যখন চাপে পরে বাংলাদেশ তখন আশা জাগানো সাদমানও ফিরে যান সাঝঘরে। ব্যক্তিগত ২৯ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরেন তিনি। শেষের দিকে লিটন দাস ২৪ ও নাঈম হাসানের ১৯ রান ছাড়া কেউই উইকেটে ধারাতে পারেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।