বিনোদন ডেস্ক: অসুস্থতাজনিত কারণে ভারতের রাজধানী দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে প্রবীণ অভিনেতা প্রবীর মিত্র। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ভারতে যান তিনি। এর পরের দিন ভর্তি হন হাসপাতালে।
বুধবার গণমাধ্যমকে এই খবর নিশ্চিত করেছেন প্রবীর মিত্রের পুত্রবধূ সোনিয়া ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘আব্বার বোন এবং পরিবারের অনেক সদস্যরাই ভারতের থাকেন। তাদের সঙ্গে দেখা করা এবং শারীরিক চেক-আপের জন্য তিনি দিল্লিতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আগে থেকেই আব্বার হাঁটুতে সমস্যা আছে। তবে তেমন কোনো জটিল সমস্যা হয়নি। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’
বাংলাদেশি সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা প্রবীর মিত্র অনেকদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতার সঙ্গে লড়ছেন। গত নভেম্বরে জানা গিয়েছিল, হাঁটুর ব্যথার জন্য তিনি ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না। এমনকি কাছে গিয়ে খুব আওয়াজ করে কিছু না বললে শুনতেও পান না।
অনেক দিন ধরেই গিঁটেবাতের সমস্যায় ভুগছিলেন প্রবীর মিত্র। ২০২০ সালে করোনাভাইরাসেও সংক্রমিত হন এই অভিনেতা। সোনিয়া জানান, চিকিৎসা শেষে কিছুদিন বোনের বাসায় থেকে তারপর দেশে ফিরবেন প্রবীর মিত্র।
সিনেমা দিয়ে যশ, খ্যাতি পেলেও এখন সেদিকে প্রবীর মিত্রের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। নানা কারণে তিনি রুপালি জগত থেকে দূরে আছেন। সিনেমা নিয়ে কথা বলা তো দূরে থাক, ঘরে বসে টেলিভিশনেও দেখেন না তিনি। ঘরের সদস্যদেরও নিষেধ করে দিয়েছেন, যেন তার সঙ্গে সিনেমা নিয়ে কোনো কথা না বলে।
১৯৪০ সালের ১৮ আগস্ট চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রবীর মিত্র। তবে বেড়ে ওঠেন ঢাকায়। ‘লালকুটি’ থিয়েটারে অভিনয়ের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। ১৯৬৯ সালে ‘জলছবি’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে আত্মপ্রকাশ করেন এ অভিনেতা। এরপর দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বহু নন্দিত ও কালজয়ী সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছে। ৭৬ বছর বয়সী এই অভিনেতা দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘জয় পরাজয়’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘প্রতিহিংসা’ ও ‘রঙিন নবাব সিরাজদ্দৌলা’সহ ৩ শর বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।