জুমবাংলা ডেস্ক : গতকাল মঙ্গলবার বিমানের ধাক্কায় দুটি গরুর মৃত্যুর পর টনক নড়ছে কর্তৃপক্ষের। এবার কয়েকটি পয়েন্টে সীমানা প্রাচীর সংস্কারের কাজ চলছে। দ্রুত তা শেষ হলে গবাধি পশু বা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ঝুঁকি কেটে যাবে।
কক্সবাজারের বিমানবন্দর মর্যাদা আন্তর্জাতিক পেলেও নিরাপত্তা দুর্বল থাকায় রানওয়েকে স্থানীয়রা ‘শর্টকাট’ পথ হিসেবে ব্যবহার করছেন। তবে বিমানবন্দরের প্রাচীর সংস্কারের আগেই উড়োজাহাজের ধাক্কায় গরুর মৃত্যুর ঘটনায় ইতোমধ্যে চারজন আনসারকে চাকরিচ্যুতসহ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রানওয়ে এলাকাবাসী ‘শর্টকাট’পথ হিসেবে ব্যবহার করায় বিমান অবতরণ ও উড্ডয়নের সময় ঢুকে পড়ে গবাদি পশুসহ নানা প্রাণী। মঙ্গলবার বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজের ধাক্কায় দুটি গরু মারা যায়।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কক্সবাজার বিমানবন্দরের নুনিয়াছড়া, কুতুবদিয়া পাড়া, নুনিয়াছড়া লাস্ট মাথা, ৬ নম্বর এলাকায় সীমানা প্রাচীর ভেঙে পড়েছে। প্রাচীর ভেঙে পড়ায় রানওয়েকে ‘শর্টকাট’হিসেবে ব্যবহার করছেন মানুষ। এই অংশ দিয়ে গরু, ছাগলসহ বিভিন্ন প্রাণী ঢুকে পড়ছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দর ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নিত করা হয়।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে নিয়োজিত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক বলেন, বিমানের ফ্লাইটটি মঙ্গলবার উড্ডয়নের সময় ডান পাশের পাখায় ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়ে গরু দুটি। সেখানেই মারা যায় গরু। তবে উড়োজাহাজটি ৯৪ যাত্রী নিয়ে সফলভাবেই উড্ডয়ন করে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের নতুন ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্তজা হোসেন বলেন, কয়েকটি পয়েন্টে সীমানা প্রাচীর সংস্কারের কাজ চলছে। দ্রুত তা শেষ হলে এসব গবাধি পশু বা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ঝুঁকি কেটে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।