মানুষের চোখ স্টেরিওস্কোপিক দৃশ্য ধারণের উপযোগী বলে একই সঙ্গে দুই চোখে দুই দিকে দেখা সম্ভব হয় না। স্টেরিওস্কোপিক অর্থ হলো দুটি চোখ একই বস্তুর একটু ভিন্ন কোণ থেকে দেখে এবং স্নায়ুতন্তুর মাধ্যমে এমনভাবে সংযুক্ত থাকে যে দুই চোখে দেখা দৃশ্য সুসমন্বিতভাবে মস্তিষ্কে একটি দৃশ্য হিসেবে অনুভূত হয়।
এর ফলে যেকোনো বস্তুর ত্রিমাত্রিক দৃশ্য আমরা দেখতে পাই। অর্থাত্ বস্তুর শুধু দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ নয়, এর বেধ বা গভীরতাও বুঝতে পারি। পাখি, হাঁস, মুরগি প্রভৃতি প্রাণী এটা পারে না। তাদের দুই চোখ মাথার দুই দিকে থাকে। ফলে ওরা দুই চোখে দুই পাশ দেখতে পারে।
যদিও আমাদের দুই চোখের পেশিতন্তু স্বাধীনভাবে কাজ করে এবং চোখের মণি প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন দিকে নড়াচড়া করতে পারে, তবু চোখের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রিত হয় কেন্দ্রীয় মস্তিষ্কের একটি অংশে। এর ফলে দুটি চোখের একটি ফোকাল পয়েন্ট থাকে। এবং দুই চোখ একেবারে আলাদাভাবে কোনো বস্তু দেখতে পারে না।
দুই চোখের দুই পাশে আয়না রেখে যদি চোখকে দুই দিকে দেখার জন্য প্রলুব্ধ করা হয়, তখন মস্তিষ্ক সেটা প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে না। শেষ পর্যন্ত একটি ফোকাল পয়েন্টই কার্যকর হয়। আমরা স্টেরিওস্কোপিক দৃশ্য ধারণ করতে পারি বলে চলাফেরা করার সময় কোন গাড়িটি আগে, কোনটি পেছনে, কোনো গাছ বা বস্তুর কোনটি কত দূরে—এসব বুঝতে পারি। এই গুণটি না থাকলে আমাদের চলাফেরায় অনেক সমস্যা হতো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।