জুমবাংলা ডেস্ক : পারিবারিক নি’র্যাতনের শিকার হয়ে দুই সন্তানকে বিষ খাইয়ে নিজেও বিষপান করে আত্মহ’ত্যার চেষ্টা করেছেন এক গৃহবধূ। শিশু সন্তান নুরুজ্জামান ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে মারা যায়। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে মেয়ে শাম্মী আক্তার ও মা নুরবানু আক্তার।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের ঘনিমহেষপুর বারঘরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূ জানান, তার স্বামী সেলিম হাবলা প্রকৃতির হওয়ায় তার চাচা শ্বশুর মমতাজুলসহ অন্যরা নি’র্যাতন করে ভিটাবাড়ি ছাড়া করতে চেষ্টা করছে। প্রায় সময়েই চাচাত শাশুড়ি নুরিনা ও জোসনা তাকে মারধর করত।
বুধবার রাতে হঠাৎ করেই শাশুড়ির সাথে ঝগড়া লাগে নুরবানুর। তখন চাচা শ্বশুর ও শাশুড়িরা তাকে (নুরবানু) মারপিট করতে আসে। পরে বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটায় শালিস ডাকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। বিচারে তাকে নি’র্যাতন করা হতে পারে ভেবে বৃহস্পতিবার সকালে নুরবানু দুই সন্তানের মুখে বিষ দিয়ে নিজেও আত্মহ’ত্যার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় ও পরিবারের লোকেরা তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ছোট ছেলে নুরুজ্জামানকে মৃত ঘোষণা করেন।
নুরবানুর স্বামী সেলিম উদ্দীন জানান, সকালে প্রতিদিনের ন্যায় কাজের সন্ধানে বাসা থেকে বের হয়ে যাই। আমার স্ত্রী দুই সন্তানের মুখে বিষ দিয়ে নিজেও বিষ খেয়েছে এমন খবর স্থানীয়রা জানালে আমি তিনজনকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।
সদর থানার এসআই ফিরোজা জানান,শাশুড়ির সাথে স্ত্রীর ঝগড়ার কারণে দুই সন্তানের মুখে বিষ দিয়ে আত্মহ’ত্যার চেষ্টা করেছে নুরবানু। এমনটা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তদন্ত শেষে বলা যাবে প্রকৃত ঘটনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।