জুমবাংলা ডেস্ক : করোনার প্রভাবে মহা সংকটে পড়েছেন সাতক্ষীরার দুগ্ধ খামারিরা। বিশেষ করে জেলার জিয়ালা নলতার প্রায় এক হাজার খামারি চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেখানে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়। কিন্তু করোনা সৃষ্ট এই সংকটকালে দুধের ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। ১০ টাকা লিটার দরেও দুধ বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার দুধ নষ্ট হচ্ছে।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার উত্তরে জিয়ালা নলতা গ্রাম। গ্রামের ঘোষপাড়ায় ১৫০টি পরিবার রয়েছে, যাদের জীবিকার প্রধান অবলম্বন কৃষিকাজ এবং গাভী পালন। গ্রামটি ‘দুধপল্লী’ হিসেবে পরিচিত। গ্রামে চার শতাধিক দুগ্ধ খামার রয়েছে। এই গ্রামের খামারিদের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে আশপাশের গ্রামগুলোতেও গড়ে উঠেছে দুগ্ধ খামার।
মিল্কভিটা প্রতিদিন ৮ হাজার লিটার এবং আকিজ ৬০০ লিটার দুধ সংগ্রহ করতো এই গ্রামগুলো থেকে। বাকী দুধ সাতক্ষীরা ও খুলনার বিভিন্ন এলাকার মিষ্টির দোকান, কারখানাতে সরবরাহ করা হতো। কিন্তু হঠাৎ করেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এলাকাতে শুরু হয় অঘোষিত লকডাউন। মিষ্টির দোকান, অন্যান্য কারখানা বন্ধ। ফলে দুগ্ধ খামারিরা পড়েছেন চরম সংকটে। ক্রেতা না থাকায় প্রতিদিন দুধ নষ্ট হচ্ছে। এদিকে দুধ বিক্রি না হওয়ায় তারা গো-খাদ্যও কিনতে পারছেন না। উঠে আসছে না খামারের নিত্যদিনের খরচ। নিজেদের সংসার চালাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘোষপাড়া গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের অধিকাংশ পুরুষ বাড়িতে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন। প্রশাসনের ভয়ে কেউ বাইরে যাওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। ঘোষপাড়া দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সভাপতি দিবস চন্দ্র ঘোষ জানান, করোনাভাইরাসের কারণে কোম্পানির গাড়ি নিয়মিত আসছে না। যতটুকু নিচ্ছে টাকা বকেয়া পড়ে থাকছে। এ জন্য স্থানীয় বাজারে ১০ টাকা লিটার দুধ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন খামারিরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।