জুমবাংলা ডেস্ক : সমাপ্ত হয়েছে বঙ্গোপসাগর কেন্দ্রিক দুবলা জেলেপল্লীর শুটকি মৌসুম। পাচঁ মাস সাগরে মাছ ধরা শেষে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। এ বছর শুটকি খাত থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করেছেন বনবিভাগ। রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে বনবিভাগ আন্তরিক হওয়ায় রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে অনেক জেলে এ বছর এ মাছ ব্যবসায় আশানুরুপ লাভবান হতে পারেননি বলে জানিয়েছেন।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ অফিস সূত্র জানায়, প্রতিবছর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দুবলার চরের ৪টি শুটকিপল্লীতে শুরু হয় মৎস্য আহরণ, শুটকি করণ ও বিপণনের কাজ। মৌসুম শুরু হয়ে চলে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত। উপকূলীয় খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা, পিরোজপুর, চট্টগ্রাম জেলার ১৫ সহ্¯্রাধিক জেলে ও ব্যবসায়ী সাগর তীরবর্তী আলোরকোল, মাঝিরকিল্লা, শ্যালা ও নারকেলবাড়িয়ার চরে অবস্থান নিয়ে সাগরে মাছ ধরে শুটকিকরণের কাজে ব্যস্ত থাকেন। মৌসুম শেষে আবার তারা এলাকায় ফিরে যান। নারকেলবাড়িয়া চরের জেলে (খুলনার ডুমুরিয়ার) পঙ্কজ চন্দ্র, আলোরকোলের (রামপাল, মোংলা) আঃ হাই, শরণখোলার জেলে ইউনুস ফকির জানান, এ বছর শুটকি ব্যবসায় অনেকে লাভবান হলেও মাঝে মধ্যে মাছ কম পড়ায় অনেকে আবার লোকশানের মুখেও পড়েছেন।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের দুবলা ফরেস্ট টহলফাড়ির ইনচার্জ মোঃ সাদিক মাহমুদ জানান, রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে করাকরি আরোপ করায় রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে। এ বছর দুবলারচরের শুটকি খাত থেকে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২১ হাজা ৮৭১ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১ কোটি ৯৭ লাখ ২১ হাজার ৮৭১ টাকা বেশী। গত বছর রাজস্ব আয় হয়েছিলো ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা । মৌসুম শেষ হওয়ায় দুবল চরাঞ্চলের অধিকাংশ জেলে ইতোমধ্যে লোকালয়ের পথে ফিরে গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।