শারদীয় দুর্গাপূজা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সারাদেশের ৩১ হাজারের বেশি পূজামণ্ডপে দুই লাখেরও বেশি আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী এ বছর শারদীয় দুর্গাপূজায় সারাদেশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এ নিরাপত্তা কার্যক্রম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, পূজার নিরাপত্তায় ৩১ হাজার ৫৭৬টি পূজামণ্ডপে মোতায়েন থাকবেন দুই লক্ষাধিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার-ভিডিপি সদস্য। পূজামণ্ডপগুলোকে নিরাপত্তা ঝুঁকির ভিত্তিতে তিন ভাগে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে—অধিক গুরুত্বপূর্ণ ৭ হাজার ৫৪টি পূজামণ্ডপে আটজন করে, গুরুত্বপূর্ণ ১০ হাজার ৯৭২টি পূজামণ্ডপে ছয়জন করে, সাধারণ ১৩ হাজার ৫৫০টি পূজামণ্ডপে ছয়জন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।
তারা ২৪ ঘণ্টা শিফট অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি দেশের ৬৪ জেলায় ৯২টি ব্যাটালিয়ন আনসার স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়মিত টহল দিচ্ছে এবং যেকোনো আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।
প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নের অংশ হিসেবে গত এক বছরে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ জনকে ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং ১৫ হাজার ৮০৭ জনকে উপজেলা আনসার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে আরও ১ লাখ ১৪ হাজার জনকে ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং ৩৭ হাজার ৪২৬ জনকে উপজেলা আনসার প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাহিনীর চলমান সংস্কার কার্যক্রমের আওতায় প্রায় দুই লাখ তরুণকে গণপ্রতিরক্ষার নতুন ধারায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন যুক্ত এভিএমআইএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে সব সদস্যের নিবন্ধন ও হালনাগাদ তথ্য যাচাই করে পূজার নিরাপত্তা দায়িত্ব নির্ধারণ করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা কার্যক্রমে ‘ইনসিডেন্ট রিপোর্ট সিস্টেম’ ও ‘শারদীয় সুরক্ষা অ্যাপস’ চালু করা হয়েছে, যার মাধ্যমে সদস্যরা তাৎক্ষণিক ঘটনাপ্রবাহ রিপোর্ট করছেন এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তথ্য ভাগাভাগি করছেন। জেলা কমান্ড্যান্ট ও উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তারা সরাসরি মাঠে থেকে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করছেন এবং পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।
এ সময় মহাপরিচালক বলেন, “বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী বিশ্বাস করে দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশন সমাজে আস্থা, স্বচ্ছতা ও গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। সাংবাদিক সমাজ আমাদের অগ্রযাত্রার সহযোগী।”
৩৮ বছর পর রাজউক আইন সংস্কার, নাগরিক সেবায় গুণগত পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।