জুমবাংলা ডেস্ক : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রথমবারের মত ফুটেছে দুর্লভ প্রজাতির কাউয়াতুতি ফুল। এই গাছ এবং ফুল-ফল আমাদের দেশে দুর্লভ। বর্তমানে এই ফুলটি হারিয়ে যাওয়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। রাতের বেলা ফোটা এই ফুল পরদিন সকালে গাছের তলায় পাওযা যায়। বেরোবির ক্যাম্পাসে কাউয়াতুতি ফুল ফোটায় খুশি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ফুলপ্রেমিরা। তবে এই ফুলের গাছটি বারপাত্তা, তাকবাম, জংলিসালতি, বন শাল, বন সেগুন, পাহাড়ি হিজল নামেও পরিচিত।
এই গাছটি সর্ম্পকে জানা গেছে, গাছটির পাতা বড়, ফুলের রং হলুদ, বর্ষায় এই ফুল ফোটে। বড় আকারের চির সবুজ গাছ। ছাল অমসৃণ, ধূসর, তাতে লম্বা লম্বা ফাটল রয়েছে। কচি ডাল ও মঞ্জরি বাদামি রোমে ঢাকা। যৌগপত্র একপক্ষল, বিজোড়পত্রী, ৩০ থেকে ৪০ সেমি লম্বা। পাতা ৪ বা ৬টি, বর্শাকার। নিচের দিক রোমশ, প্রায় বোঁটাহীন। ১০ থেকে ২৪ সেমি লম্বা হয়ে থাকে। মূল বোঁটার গোড়ায় প্রায়ই একজোড়া ছোট পাতা দেখা যায়। ডালের আগায় শাখা বিভক্ত, খাড়া রোমশ মঞ্জরি আছে। ফুল বড়, হলুদ-বাদামি রঙের। বৃতি ঘণ্টাকৃতি, দেড় সেন্টিমিটার লম্বা, অসম লতি ৩ থেকে ৫টি। পাপড়ির সংখ্যা ৫টি এবং সবুজাভ হলুদ। ফুল ফোটার মৌসুম হচ্ছে গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে। ফল ৩০ থেকে ৯০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। বেলনাকার, শিরাল ও বাঁকা। বীজ অজস্র পক্ষল, প্রায় দেড় সেন্টিমিটার লম্বা। আমাদের দেশে একটি বিরল প্রজাতির গাছ এটি। এটি প্রাকৃতিকভাবে জন্মে। কাঠ হলদে-বাদামি রঙ্গের বেশ শক্ত, মজবুত ও টেকসই। ঘরের খুঁটিসহ গৃহ নির্মাণ ও ছোটখাটো সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত হয়। এই গাছটিতে ভেজষগুণ রয়েছে। ভেজষ হিসেব আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা এর ব্যবহার করেন।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রায় চারশ’ প্রজাতির গাছ রোপণের মূল কারিগর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে শিক্ষক অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ এই গাছটি ৩ বছর আগে লাগিয়েছিলেন। বাংলাদেশের বিপন্ন এমনকি মহাবিপন্ন অনেক গাছ তিনি রোপণ করেছেন। নিরলস পরিশ্রম আর একাগ্র প্রচেষ্টাতেই তার একাজ সম্ভব হয়েছে। এখন এই ক্যাম্পাসে ঢুকলেইে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে যে কারো মন ভরে যায়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেটসহ দেশের বিভন্ন অঞ্চল থেকে চারা সংগ্রহ করতে তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে তাকে। একাজে নিসর্গী মোকারম হোসেন তাকে দুর্লভ গাছ সংগ্রহ করে দিতে সবচেয়ে বড় ভ‚মিকা পালন করেছেন তিনি জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।