সাদার্ন মেথোডিস্ট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী অ্যালান এস ব্রাউন ২০০৩ সালে একটি গবেষণা করে দেখেন, ৬০ শতাংশ মানুষের জীবনে একবার হলেও ‘দেজা ভু’–জাতীয় অভিজ্ঞতা রয়েছে। ‘দেজা ভু’র মতো ঘটনা কি কখনো ঘটেছে আপনার সঙ্গে? যে অনুভূতির কারণে জীবনে প্রথম দেখা অচেনা জায়গাকেও চেনা মনে হয়, মনে হয় এ জায়গায় আপনি যেন আগেও এসেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাধারণত কোনো জায়গায় বেড়াতে গেলে অনেকেই দেজা ভুর মতো অনুভূতির সম্মুখীন হন।
শ্রীফলতলী জমিদারবাড়ি
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় অবস্থিত দুটি প্রাচীনতম জমিদারবাড়ির মধ্যে একটি হচ্ছে শ্রীফলতলী জমিদারবাড়ি। বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম ধরা হয় এ বাড়িকে। এই জমিদারবাড়ির রয়েছে দুটি অংশ—একাংশ হলো বড় তরফ, অপর অংশ ছোট তরফ।
বিখ্যাত তালিবাবাদ পরগনার ৯ আনা অংশের মালিকানা নিয়ে গঠিত হয় শ্রীফলতলী জমিদার এস্টেট। এই এস্টেটের প্রধান কর্ণধার খোদা নেওয়াজ খানের কনিষ্ঠ পুত্র রহিম নেওয়াজ খান চৌধুরীর হাত ধরে এই শ্রীফলতলী জমিদারবাড়ির গোড়াপত্তন ঘটে। জমিদারি পরিচালনায় তিনি তাঁর নিজের কাছারিবাড়ির পাশাপাশি আধারিয়া বাড়ির বাগানবাড়িকে অফিস হিসেবে ব্যবহার করতেন। তাঁর জমিদারির পরিসীমা ময়মনসিংহ, নরসিংদি ও সাটুরিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তাঁর প্রচেষ্টাতেই আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে তালিবাবাদ পরগনা সাভার থেকে পৃথক হয়ে ‘কালিয়াকৈর’ নামে নতুন থানা হিসেবে পরিচিতি পায়।
বিরুলিয়া জমিদারবাড়ি
ঢাকার কাছের তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত বিরুলিয়া গ্রাম। জমিদার রজনীকান্তের বাড়িসহ কয়েকটি বিখ্যাত প্রাচীন স্থাপনার জন্য গ্রামটি বেশ পরিচিত। গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়বে জমিদার রজনীকান্তের জমিদারবাড়ি। জরাজীর্ণ বাড়ির বিভিন্ন জায়গা থেকে খসে পড়েছে পলেস্তারা। বের হয়ে এসেছে ইটসুরকি।
প্রায় শত বছর বয়সী বাড়িটি কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে জীর্ণশীর্ণ অবয়ব। জমিদারবাড়ি–সংলগ্ন ভবন ছিল ১৪-১৫টি। কালের পরিক্রমায় এখন টিকে আছে ৭-৮টি। তবে সব কটি দৃষ্টিনন্দন। প্রাচীন নানা ধরনের স্থাপনায় সমৃদ্ধ বিরুলিয়া গ্রাম এখনো মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য ও আভিজাত্য বহন করে চলছে। এখনো কালের সাক্ষী হিসেবে গ্রামের শেষ মাথায় রয়েছে শতবর্ষী একটি বিখ্যাত বটগাছ।
জিনজিরা প্রাসাদ
ইতিহাসের সাক্ষী জিনজিরা প্রাসাদ এক ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি, যা ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর ওপারে কয়েক শ গজ দূরে অবস্থিত। সিরাজদ্দৌলার স্ত্রী লুৎফুন্নেসা ও তাঁর শিশুকন্যাকে মীরজাফরের পুত্র মীরনের নির্দেশে এখানে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। এ প্রাসাদের নির্মাণশৈলী বড় কাটরার আদলে হলেও কক্ষ ও আয়তন অনেক কম। পশ্চিমাংশে দুটি সমান্তরাল গম্বুজ, মাঝবরাবর ঢাকনাবিহীন অন্য একটি গম্বুজ ও পূর্বাংশ দোচালা কুঁড়েঘরের আদলে পুরো প্রাসাদের ছাদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।