দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি রাজধানী ঢাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক : শনিবার দুপুর পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৯৯৮ জন আর প্রাণহানি হয়েছে ১৪০ জনের। সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা ছাড়া ভাইরাসটি ছড়িয়েছে দেশের ৬০টি জেলায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় রয়েছেন ২২২৮জন যা মোট আক্রান্তের ৫১.৫০ শতাংশ।

রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলাসহ অন্যান জেলায় রয়েছেন ১৪৫৪ করোনা রোগী।

ঢাকার পরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৯৪ জন আক্রান্ত নারায়ণগঞ্জে। রাজধানীর পাশের আরেক জেলা গাজীপুরে আক্রান্ত ২৬১। এছাড়া কিশোরগঞ্জে ১৮১, নরসিংদীতে ১৪১ ও মুন্সিগঞ্জে ৬২ জন।

চট্টগ্রাম বিভাগে করোনা রোগীর সংখ্যা ১৭০জন। ময়মনসিংহ বিভাগে আক্রান্ত ১৬৮, দক্ষিণের বিভাগ বরিশালে আক্রান্ত ৮৬, রংপুরে বিভাগে ৭২, সিলেটে ৬৯, খুলনা বিভাগে ৩৮, এবং রাজশাহী বিভাগে ৩৩ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে করোনা।

আইইডিসিআর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩২ শতাংশ মহিলা। ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ব্যক্তিরাই ভাইরাসটিতে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরেই ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ব্যক্তিরা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।

বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ওইদিন তিনজন করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে হুট করেই বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা।

তবে ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য মার্চেই ব্যবস্থা নেয় সরকার। বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। পঞ্চম দফায় বাড়িয়ে সেই ছুটি করা হয়েছে আগামী ৫ মে পর্যন্ত।

করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই আজ থেকে শুরু হয়েছে মুসলমানদের পবিত্র মাস মাহে রমজান। এ বছর মাসটি একেবারেই ভিন্নভাবেই পালন হবে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের। সবাই তারাবির নামাজে যেমন অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তেমনি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে ইফতার মাহফিল আয়োজনের ক্ষেত্রেও।

শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের পদক্ষেপ অনেকটা এরকমই। তবে এর মাঝেও কিছু কিছু দেশ তাদের দেয়া লকডাউন কিছুটা শিথিল করছে। স্পেন, জার্মানি ও ভারত সেই পথে হেঁটেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালিও তেমনটাই ভাবছে।

এরই মধ্যে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ২৮ লক্ষাধিক মানুষের শরীরে। এছাড়া এতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় দুই লাখ মানুষ।