জুমবাংলা ডেস্ক : দক্ষিণ চট্টগ্রামে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সুস্বাদু মিষ্টি ও রসে ভরা সবুজ জাতের মাল্টার চাষ। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট ২০০৩ সালে বারি-১ নামের উন্নত মানের মাল্টার এ জাতটি উদ্ভাবন করে। এই মাল্টা দেখতে সবুজ যা পাকলেও রঙের কোনো তারতম্য হয় না।
বর্তমানে দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ জেলাজুড়ে পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে লেবু জাতীয় হরেক রকম ফলের সাথে বাণিজ্যিকভাবে সবুজ মাল্টার চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গত বছর জেলায় ৪৯৩ হেক্টর জমিতে শুধু দেশী জাতের মাল্টার উৎপাদন হয়েছে তিন হাজার ২২৬ মেট্রিক টন।
চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ মাল্টার উৎপাদন হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। জেলাজুড়ে গত মৌসুমে মাল্টা ছাড়াও ১৮৯৫ হেক্টর জমিতে লেবুর উৎপাদন হয়েছে ২৪ হাজার ১১৪ মেট্রিক টন, ১৭৬ হেক্টর জমিতে বাতাবী লেবুর উৎপাদন হয়েছে এক হাজার ৭৩৬ মেট্রিক টন। এ ছাড়া ৪৭ হেক্টর জমিতে কমলা লেবুর উৎপাদন হয়েছে ১৮৫ মেট্রিক টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চট্টগ্রাম জেলার উপপরিচালক আকতারুজ্জমান জানিয়েছেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামজুড়ে লেবু জাতীয় ফলের চাষ বাণিজ্যিকভাবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের নিজস্ব উদ্যোগ ছাড়াও এসএসিপি, এনএপিটি ও লেবু জাতীয় ফসল সম্প্রসারণ ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পসহ ব্যক্তিগতভাবেও দেশজুড়ে এখন বাণিজ্যিকভাবে লেবু জাতীয় ফলের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি বাণিজ্যিকভবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দেশী জাতের বারি-১ মাল্টার চাষ।
জানা গেছে, লেবু জাতীয় ফসলের মধ্যে মাল্টা একটি জনপ্রিয় ফল। বিশ্বে মোট উৎপাদিত লেবু জাতীয় ফসলের দুই-তৃতীয়াংশই হচ্ছে মাল্টা। বাংলাদেশে এই মাল্টার ব্যাপক চাহিদা থাকায় বাণিজ্যিকভাবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মাল্টার উৎপাদন।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ব্যক্তিগত উদ্যোগসহ মোট ১৬০ হেক্টর জমিতে সবুজ জাতের মাল্টার চাষ হচ্ছে। সাতকানিয়ায় ২৫ হেক্টর জমিতে এই মাল্টার চাষ হচ্ছে। চন্দনাইশে ২২ হেক্টর জমিতে মাল্টা ও ৮১০ হেক্টর জমিতে লেবুর উৎপাদন হচ্ছে। পটিয়ায় ১১ হেক্টর জমিতে মাল্টা ও ৪৩ হেক্টর জমিতে লেবু উৎপাদন হয় বলে জানা গেছে।
বাঁশখালী পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাব উদ্দিন নিজের প্রায় ১২ কানি জমিতে মাল্টার বাগান করেছেন। তিনি গত মৌসুমে তিন লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন। এবার তিনি একই বাগান থেকে পাঁচ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রির প্রত্যাশা করছেন। আসাব উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর মাল্টার উৎপাদন বাড়ছে। এবার পাঁচ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি মনে করছেন।
আগামী বছর এর উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি।
সাতকানিয়া কৃষি কর্মকর্তা প্রতাব চন্দ্র রায়, চন্দনাইশ কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানীর সরকার, পটিয়া কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমান ও বাঁশখালী কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেক বলেন, লেবু জাতীয় ফসলের সাথে সাথে দেশে উদ্ভাবিত বারি-১ জাতের মাল্টা বাণিজ্যিকভাবে চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি এখন ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাল্টার উৎপাদন এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
চাহিদা মেটাতে কোটি টাকা দিয়ে নীতা আম্বানি কিনলেন এই ডল, সমালোচনার ঝড়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।