জুমবাংলা ডেস্ক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ৮৭৬ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন এবং এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, দেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ২০৫০ সালের মধ্যে অভিযোজনের জন্য ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। এ ছাড়া জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান বাস্তবায়নের জন্য ১৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা এবং বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এর জন্য চিহ্নিত অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের জন্য ৪৭১.৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য সরকার বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারত্ব গঠন করেছে।
শনিবার (০১ জুন) সাভারের ব্র্যাক সিডিএমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ আয়োজিত ক্লাইমেট ফাইন্যান্স এক্সেস অ্যান্ড মোবিলাইজেশন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন শুধু একটি পরিবেশগত বিষয় নয়; এটি একটি অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং উন্নয়নমূলক বিষয় যা আমাদের সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করে। জলবায়ু অর্থায়ন সংগ্রহ আমাদের নিম্ন-কার্বন, জলবায়ু-সহনশীল অর্থনীতিতে রূপান্তরকে সমর্থন করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল এবং উদ্ভাবনী অর্থায়ন ব্যবস্থাকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে এবং জলবায়ু অর্থায়নে প্রবেশাধিকার, ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহার কার্যকর করার জন্য আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
সাবের চৌধুরী বলেন, উন্নত দেশগুলোর নৈতিক এবং আইনগত দায়িত্ব রয়েছে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তাদের জলবায়ু কর্মে সহায়তা করার। আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের তাদের প্রতিশ্রুতিগুলো সম্মান করতে এবং পূর্বানুমেয়, পর্যাপ্ত এবং প্রবেশযোগ্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করার আহ্বান জানাই। একই সময়ে, আমাদের সবুজ বন্ড, জলবায়ু বীমা এবং পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারত্বের মতো উদ্ভাবনী অর্থায়নের উৎসগুলিও অন্বেষণ করতে হবে। আসুন আমরা প্রয়োজনীয় সম্পদ সংগ্রহ করতে, রূপান্তরমূলক কর্ম বাস্তবায়ন করতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি ভালো, নিরাপদ এবং টেকসই বিশ্ব গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, সুইডেনের দূতাবাসের উন্নয়ন সহযোগিতার উপপ্রধান নায়োকা মার্টিনেজ-ব্যাকস্ট্রোম, ব্রিটিশ হাই কমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার এবং উন্নয়ন পরিচালক ম্যাট ক্যানেল, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির বাংলাদেশের প্রতিনিধি স্টেফান লিলারও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
এই অনুষ্ঠানটি বিভিন্ন সরকারি মন্ত্রণালয় ও সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সিভিল সোসাইটির প্রধান অংশীদারদের একত্রিত করেছিল, যারা বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধির এবং এর কার্যকর ব্যবহারের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।