জুমবাংলা ডেস্ক : খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বেকার সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। সরকার না কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে, না উদ্যোক্তা উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে ১০ লাখেরও অধিক বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে কাজ করছে। এদের অধিকাংশই হচ্ছে প্রতিবেশী দেশের নাগরিক। তারা ২০১৭ সাল থেকে এই পর্যন্ত প্রায় সোয়া লক্ষ কোটি টাকা অবৈধভাবে নিজ দেশে নিয়ে গেছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক নির্বাহী বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য এখনো ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার যেখানে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের তো সীমা নেই। সরকারি বিধিনিষেধের কারণে প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানি করতে পারছে না ব্যবসায়ীরা। বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ এখনো ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো কষ্টকর। নিয়ন্ত্রিত আমদানির কারণে আমাদের রপ্তানি আয়েও ব্যাঘাত ঘটছে। যার এতদিন সঞ্চয় ছিল তা ভেঙে সংসার চালাতে হচ্ছে। এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে দেশবাসী মুক্তি চায়। এই সংকটের মধ্যেও রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অপচয় করা হচ্ছে। গত ১৫ বছরে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে ব্যর্থ এই সরকার।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত হোসাইন, আহমদ আলী কাসেমী, জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, ডা. রিফাত হোসেন মালিক, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জিল্লুর রহমান, জহিরুল ইসলাম, শায়খুল ইসলাম, আফতাব উদ্দিন, আবু আদিবা, অধ্যাপক আজিজুল হক, নুর হোসেন, সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেন, মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।