জুমবাংলা ডেস্ক : দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা আজকের হিসাব অনুযায়ী দ্বিগুণেরও বেশি হারে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এই ১১২ জনের মধ্যে ২৫ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এ ছাড়া ২৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন বাদে সবাই ষাটোর্ধ্ব।
গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। তারপর থেকে ধীরে ধীরে এই সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। প্রথম কয়েকদিনে বয়স্কদের আক্রান্ত হতে দেখা গেলে এখন ভিন্ন চিত্র দৃশ্যমান হচ্ছে। ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী যুবকরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তারপরই থাকছে ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা।
গতকাল বুধবার আইইডিসিআরের দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১৫ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল।
এদিকে ভাইরাসটিতে নারীদের তুলনায় পুরুষের আক্রান্তের হার বেশি। বুধবার মোট ৫৪ জন রোগী শনাক্ত করা হয়। এই ৫৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৩ জন আর নারী ২১ জন। আজ বৃহস্পতিবার আইইডিসিআরের দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, মোট ১১২ জন আক্রান্তের মধ্যে পুরুষ ৭০ জন আর নারী ৪২ জন। অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশ পুরুষ।
কিন্তু হঠাৎ করে কেন যুবকদের আক্রান্তের হার বেড়ে যাচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘যুবকরা নতুন করে বেশি বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, এটা সঠিক। কিন্তু কেন অন্যদের তুলনায় যুবকরা বেশি বেশি আক্রান্ত হচ্ছে? কারণ, হোম কোয়ারেন্টিনের নিয়ম সবচেয়ে বেশি মানছে না এই যুবকরাই। পুরো বিশ্বেই যেহেতু অল্প বয়স্ক বা যুবকদের মারা যাওয়ার হার কম সেহেতু তারা ভাবছে তাদের সমস্যা হবে না। মারাও যাবে না বলে একটা মনোভাব তাদের আছে। অথচ এই মনোভাবটা ভীষণ খারাপ।’
নাসিমা সুলতানা আরো বলেন, ‘‘যেহেতু ‘কিছু হবে না’ ধরনের একটি মনোভাব যুবকদের মধ্যে কাজ করছে সেহেতু তারা নিয়মিত জনসমাগম করছে, বাইরে যাচ্ছে, বাজারে যাচ্ছে কিংবা হোম কোয়ারেন্টিনের নিয়ম মানছে না; তাই তাদের ভেতর আক্রান্তের হার বাড়ছে। কারণ, ভাইরাসে আক্রান্ত হতে হলে তো আপনাকে কোনো না কোনো কন্ট্রাক্টে যেতে হবে। যুবকরা আক্রান্ত কন্ট্রাক্টের কাছে যাচ্ছে সেহেতু তারা আক্রান্তও বেশি হচ্ছে। আর যারা সমস্যা হবে ভেবে ঘরে বসে থাকছে বা কোয়ারেন্টিনের নিয়ম মানছে তাদের ভেতর কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা কম দেখা যাচ্ছে।’
ঢাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্ত হয়েছে ৪২ জন। ঢাকার পরেই নারায়ণগঞ্জের অবস্থান। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১৩ জন।
নারায়ণগঞ্জে কেন এত বেশি আক্রান্ত হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘অন্যান্য জেলায় যাদের করোনা পজিটিভ বলে শনাক্ত করা হচ্ছে তাদের ভেতর বেশ কয়েকজন রোগী কিন্তু নারায়ণগঞ্জ থেকে সেখানে ফিরেছে। নারায়ণগঞ্জে যিনি প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি হয়তো জনসমাগম এড়িয়ে চলেননি। তাঁর থেকে অন্যরা আক্রান্ত হয়েছে। পরে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিরাও হয়তো এভাবে মানুষের সংস্পর্শে গিয়েছিল। এভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি।’ -এনটিভি অনলাইন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।