নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৯ হাজার ৭৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৬০২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। প্রতি ১০০টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৬ জন রোগী পাওয়া গেছে।
একই সময়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত অনুযায়ী ১.৪৬ জন মারা গেছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা, শনাক্ত করা এবং মৃত্যুর সংখ্যা – এই তিনটিই বাংলাদেশে এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সোমবার (১৭ মে) করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় ৯ হাজার ৭৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৬০২ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়। এ নিয়ে মোট ১ লাখ ৮৫ হাজার ১৯৩ টি নমুনা পরীক্ষা করে দেশে ২৩ হাজার ৮৭০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
ডা. নাসিমা সুলতানা আরও বলেন, দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় সর্বোচ্চ ২১ জন মারা গেছেন। নতুন মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭জন পুরুষ এবং চারজন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১২জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৪৯ জনে।
সর্বশেষ মারা যাওয়া ২১ জনের বয়স সংক্রান্ত তথ্য উল্লেখ করে তিনি জানান, এদের মধ্যে ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৬ জন ও ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২ জন রয়েছেন।
এদিকে আগে থেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা আরও ২১২ জন রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন জানিয়ে ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ৪ হাজার ৫৮৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরু হয়। ওইদিন তিনজনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ করোনা সংক্রমিত হয়ে প্রথম এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় দেশে। একই দিন নতুন করে আরও চারজনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে পৌঁছায়। এরপর থেকে দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।