জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের বাজারে প্রথমবারের মতো ২৫০ সিসির মোটরসাইকেল নিয়ে আসল বাংলাদেশে বাজাজ মোটরসাইকেলের পরিবেশক উত্তরা মোটরস।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে পালসার এন২৫০ মোটরসাইকেলটি উন্মোচন করা হয়।
মোটরসাইকেলটি পাওয়া যাবে তিনটি ভিন্ন রঙে, যার মূল্য ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। ২৫০ সিসির অয়েল কুলড ইঞ্জিন সম্বলিত মোটরসাইকেলটিতে ডুয়েল চ্যানেল অ্যান্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম (এবিএস) ব্যবহার করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ব্যবসার পরিবেশ ও শিল্প উৎপাদনে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেক উন্নত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার এখন বাংলাদেশ। ভারত দুই যুগ ধরে বাংলাদেশকে প্রায় সব পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে আসছে, যদিও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ভারতের পাল্লাই ভারী। তবে ক্রমেই ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ছে।
প্রণয় ভার্মা আরও বলেন, ভৌগোলিক নৈকট্য ও কাছাকাছি অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের কারণে বাংলাদেশে ভারতীয় অটোমোবাইল কোম্পানিগুলোর ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। নতুন ও যৌথ অংশীদারত্বের মাধ্যমে এসব কোম্পানি দেশের গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।
পালসার এন২৫০ মোটরসাইকেলের বাজারজাতকরণ সম্পর্কে মতিউর রহমান বলেন, ‘অনেক দিনের চেষ্টায় গ্রাহকদের স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি। দেশে বর্তমানে বাজাজের ৬ লাখ পালসার মোটরসাইকেল চলছে। অন্যদিকে ২০১৮ সাল থেকে দেশে উত্তরা মোটরসের কারখানায় ৪ লাখের বেশি মোটরসাইকেল তৈরি হয়েছে।’ চলতি অর্থবছরের মধ্যে আরও কয়েকটি মডেল বাজারে আনার পরিকল্পনা আছে বলে জানান তিনি।
উত্তরা মোটরসের ব্যবসা পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান নাঈমুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দেশে আমরা ১৬০ সিসির অধিক সক্ষমতার মোটরসাইকেল বাজারে আনতে পেরেছি। দুই দশক ধরে দেশের বাজারে বাজাজের মোটরসাইকেল শীর্ষ স্পোর্টস বাইক হিসেবে জায়গা নিয়ে আছে।’ ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে পালসার এন২৫০ মোটরসাইকেলের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বর্ণনা করেন বাজাজ অটো ইন্ডিয়ার ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের ব্যবস্থাপক সামীর মারদিকার। উত্তরা মোটরসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিকভাবে ২৫০ সিসির ৫০০ থেকে ৬০০টি মোটরসাইকেল বাজারে আনা হয়েছে। বাজাজ পালসার এন২৫০ মোটরসাইকেলটিতে রয়েছে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস প্রযুক্তি। ডুয়েল চ্যানেল এবিএস হলো এমন প্রযুক্তি, মোটরসাইকেলের চাকা লক না হওয়া বা আটকে যাওয়া অথবা যেকোনো রাস্তায় চাকা যেন পিছলে না যায়, তা নিশ্চিত করতে এটি কাজ করে।’
ব্রুকলিন ব্ল্যাক রঙের মোটরসাইকেলটিতে থাকবে বাই ফাংশনাল এলইডি প্রজেক্টর হেডল্যাম্প ও গ্লিটার প্যাটার্নের এলইডি টেইল ল্যাম্প। আছে ইউএসবি মুঠোফোনের চার্জিং ব্যবস্থাও। মোটরসাইকেলটির সামনে ৩৭ মিলিমিটারের টেলিস্কোপিক সাসপেনশন ও পেছনে রয়েছে মনোশক সাসপেনশন।
মোটরসাইকেলটির ইঞ্জিনটি ফোর স্ট্রোক সিঙ্গেল সিলিন্ডার ধরনের। ইঞ্জিন থেকে সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ৫ নিউটন মিটার টর্ক পাওয়া যায়। মোট ১৪ লিটার ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটির বাইকটির ওজন ১৬২ কেজি। বাজাজ পালসার এন২৫০ মোটরসাইকেলে ৪৫ কিলোমিটারের মতো মাইলেজ পাওয়া যাবে।
আন্দিকা প্রতামার হারলে স্পোর্টস্টার বাইক: শৈল্পিক ডিজাইন এবং যান্ত্রিক দক্ষতার দুর্দান্ত মিশেল!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।