জুমবাংলা ডেস্ক: উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গত কয়েক দিন থেকে পৌষের শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে প্রচন্ড শীত বিরাজ করছে উত্তরের এই জেলায়। ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা শীতের পোশাকের অভাবে কাবু হয়ে যাচ্ছে।
জুবুথুব অবস্থায় দিন কাটছে নদীপাড়ের মানুষের। ডিসেম্বরের শেষে নামতে পারে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। প্রকট হচ্ছে শীতের তীব্রতা। শীত প্রবণ এই জেলায় সপ্তাহজুড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। ৮ থেকে ৯ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা ওঠা-নামা করছে।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় ৯ ডিগ্রি এবং সকাল ৯টায় তাপমাত্রা কমে গিয়ে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত ১০ দিন ধরে ২৬ ডিগ্রির ঘরে রয়েছে।
ভোর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল চারদিক। সূর্য ওঠার পর কুয়াশা কেটে গেলেও বইছে ঠাণ্ডা বাতাস। পঞ্চগড় পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় নিম্ন আয়ের মানুষেরা উপায় না পেয়ে বাড়ির সামনে ও রাস্তার পাশে খড়কুটো এবং টায়ার জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। নদীতে বালু ওঠানোর কাজ করছে তখন জবুথুবু অবস্থা।
সকালে তেলিপাড়া এলাকার জবেদ আলী নামে একজন বালুশ্রমিক জানিয়েছেন, ঠাণ্ডায় জবুথবু অবস্থা। সকালে বালু না তুললে আমাদের চুলা জ্বলে না। এ জন্য যতই ঠাণ্ডা হোক আমাদের বালু তুলতে হবে।
ভ্যান চালক আইনউদ্দিন জানিয়েছেন, ঠাণ্ডায় খুব কষ্টে আছি। কিন্তু ঘরে থাকলে তো আর পেটে ভাত যাবে না। গত দুদিন থেকে ঠাণ্ডা বাতাসে কাবু হয়ে গেছি। রাত হলে বেশি ঠাণ্ডা লাগে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা নিচের দিকে নামছে। ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা কমে গিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ নামতে পারে। তিন থেকে চার নটিকেল মাইল বেগে প্রতি ঘণ্টায় বাতাস বয়ে যাচ্ছে। বাতাসের আদ্রতা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। দিনের বেলায় বাতাসের আদ্রতা থাকে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ।
শীতকে উপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করার ৫ আশ্চর্য উপকারিতা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।