মাত্র দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে বিএনপির সিনিয়র দুই নেতার মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- মুক্তিযুদ্ধের সাব সেক্টর কমান্ডার, সাবেক যুবমন্ত্রী আবুল কাশেম (৭৭) ও খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হুইপ মো. আশরাফ হোসেন (৮০)।
শনিবার রাত ৩টার থেকে ভোর ৪টা ২৫ মিনিটের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
তথ্য মতে, আবুল কাশেম শনিবার ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে বার্ধক্যজনিত কারণে বনানীর নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি এক পুত্র ও দুই কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার বাদ আসর কুমিল্লা সদর উপজেলার পালপাড়া গ্রামে বাবা-মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত আছিয়া-গনি গার্লস স্কুল মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে কুমিল্লা সদর উপজেলার পালপারায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
অন্যদিকে মো. আশরাফ হোসেন শনিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসার ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন।
আশরাফ দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মো. আশরাফের ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহকর্মী এ কে এম মোশফেকুস সালেহীন পাইলট বলেন, ২৫ দিন আগে মো. আশরাফকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। তিনি ক্যানসার ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। তবে সম্প্রতি সময়ে তার হার্টের সমস্যা বেশি হচ্ছিল। শুক্রবার রাতে অবস্থার অবনতি হলে একপর্যায়ে তিনি মারা যান।
অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, বাদ যোহর তার নামাজে জানাজা রাজধানীর নিকুঞ্জ-২ জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। পরে কুমিল্লায় বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
জানা যায়, খুলনা-৩ আসন থেকে বিএনপির টিকিটে চারবার নির্বাচিত হয়েছেন মো. আশরাফ। দলটিতে এক সময়ে যুগ্ম মহাসচিবও ছিলেন তিনি। এছাড়াও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় ছিলেন খুলনা জুট ওয়ার্কার্স ইনস্টিটিউটের সভাপতিও ছিলেন তিনি। ১/১১-র সময়ে সংস্কারপন্থি হওয়ার অভিযোগ থাকায় বিএনপির সঙ্গে সম্প্রতি তার সম্পৃক্ততা ছিলো না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।