জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁদপুর শহরে করোনায় আক্রান্ত রোগীর বাড়ি চিহ্নিত করে লকডাউন শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, মৌসুমি ফলসহ ওষুধ সামগ্রী। এদিকে, চাঁদপুরে করোনা পজিটিভ-এ এই পর্যন্ত ২৫ জন এবং এর উপসর্গ নিয়ে আরো ৪৫ জন মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার দিনভর একদল স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে কাজ চালিয়ে যান।
এদিকে, শহরের বিভিন্ন এলাকায় করোনা রোগী শনাক্ত করে তাদের বাড়ি লাল নিশান উড়িয়ে দিয়ে তা লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা ধরনের মৌসুমি ফল বাড়ির লোকজনের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়। কোথাও কোথাও ওষুধ সামগ্রীও দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, অভিযান পরিচালনার সময় দেখা যায় যে একজন করোনা পজিটিভ রোগী নিজেই তার ওষুধের দোকান খুলে ব্যবসা করছেন। এমন পরিস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুন নাহার ওই রোগীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং তাকে সতর্ক করে দিয়ে ওষুধের দোকানটি লকডাউন ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার থেকে চাঁদপুর নতুন নিয়মে লকডাউন চালু করে জেলা প্রশাসন। এতে বলা হয়েছে, শহরের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে রোগীর বাড়ি এবং গ্রামে হলে আক্রান্ত এবং তার আশপাশের চারটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হবে।
তবে গত বৃহস্পতিবার থেকে জেলা শহরে রোগী শনাক্তে উদ্যোগ নেওয়া হলেও উপজেলাগুলোতে তা চোখে পড়েনি। এমন পরিস্থিতিতে জেলার হাজীগঞ্জে করোনা পজিটিভ- এ আক্রান্ত স্থানীয় সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সিফাত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তিনি জানান, গত ১০ দিন ধরে হাজীগঞ্জ বাজারের বাসায় তিনি আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিলেও প্রশাসনের কেউ তার খোঁজ নেয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।