খুজেস্তা নূর-ই-নাহারিন : সময় পাল্টেছে। বাবা-মা যেমন সন্তানদের সুখী দেখতে চান, আধুনিক সন্তানেরাও বাবা-মাকে সুখী দেখতে চান। অনন্ত সুখে থাকার জল্পনা নিয়েই প্রতিটি দাম্পত্যের সূচনা। অকাল মৃত্যু কিংবা অবশ্যম্ভাবী ডিভোর্সের ক্ষেত্রে একা হয়ে পরেন কেউ কেউ। এই একাকীত্বের যাতনা মেনে নেওয়া সবার পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। কারণ একা থাকা এতোটা সহজ নয়।
দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে এখনো অনেকে লজ্জা পান, দ্বিধা বোধ করেন স্বামী কিংবা বিশেষ করে স্ত্রীর আগের পক্ষের সন্তানদের জনসম্মুখে আনতে, যা কেবল অনভিপ্রেত নয়, রীতিমতো অশ্লীল মনে হয়। মাকে গ্রহণ করতে পারবেন, অথচ তার সন্তানকে নয়, এটা কেমন কথা কেমন তর মানুষ আপনি মায়ের অনুভূতি বুঝেন না।
সন্তান থাকা মানে লজ্জা নয়, বরং নারীর জন্য অবশ্যই অহঙ্কার। আর ভালো লাগার বিষয়। আগের পক্ষের সন্তান থাকলে নারীর মূল্য মোটেও কমে যায় না। সন্তানের মাকে বিয়ে করার সময় থেকে সেই সন্তানেরও দায়িত্ব নিতে বদ্ধপরিকর হোন। প্রতিটি মায়ের কাছে তার সন্তান সবার আগে।
মায়ের দ্বিতীয় বিয়েতে যাতে করে ওদের কোনো প্রকার অসম্মান কিংবা মনোকষ্ট না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। বিয়ের আগে অবশ্যই সন্তানদের সঙ্গে কথা বলুন সমস্ত আনন্দ উৎসবে তাদের শরিক করুন। বাবা-মায়ের সুখের সঙ্গে সন্তানদের কোনো বৈরিতা থাকার কথা নয়, আমরা পুরাতন প্রথায় বিশ্বাসী মানুষেরা তাদের মতো দ্বৈততার কারণ ঘটিয়ে বিভেদ রচনা করি।
পাকিস্তানের অভিনেত্রী মাহিরা খান ছেলের হাত ধরে বিয়ের আসরে প্রবেশ করছেন। মুগ্ধ করার মতো একটি ছবি। মায়ের সমস্ত আনন্দ আর সুখের মুহূর্তে সন্তানেরা সঙ্গে থাকুক। দ্বিতীয় বিয়ে কোনো অন্যায় নয়, বরং প্রতিটি মানুষের অধিকার আছে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আনন্দে থাকার জীবনকে উপভোগ করার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।