জুমবাংলা ডেস্ক : নাটোরের গুরুদাসপুরে পাটক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া এক নারীর লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুর ১২টায় গুরুদাসপুর থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জামিল আকতার (সিংড়া সার্কেল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, উদ্ধার হওয়া ওই নারীর নাম রাখী খাতুন (২৬)। তিনি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার তালধারি গ্রামের মসলেম উদ্দিনের মেয়ে। বছর দেড়েক আগে রাজশাহীর তানোর উপজেলার চান্দুরিয়া গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে মিলন ইকবালের (৩৪) সঙ্গে তার বিয়ে হয়। রাখীর দ্বিতীয় স্বামী মিলন এবং মিলনেরও দ্বিতীয় স্ত্রী রাখী।
মিলন ঢাকার ডিবিএল গার্মেন্টসে প্রতি মাসে ১৪ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করেন। এর মধ্যে ১০ হাজার টাকা রাখীকে দিতেন। রাখী মাসের মাঝামাঝিতে আরও টাকার জন্য চাপ দিতেন। এ কারণে তৃতীয় স্ত্রী তাহমিনাকে ঠিকভাবে দেখাশোনা করতে পারতেন না মিলন।
রাখীর বেপরোয়া চলাচলে অতিষ্ট হয়ে ওঠেন মিলন। একপর্যায়ে গত ৩১ মে সন্ধ্যায় গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে স্ত্রী রাখীকে নিয়ে বাসযোগে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসার নাম করে রওনা দেন। বাস থেকে রাত ১টার দিকে গুরুদাসপুর মহাসড়কের ১০ নম্বর ব্রিজে নামেন তারা। পরে কৌশলে ব্রিজের পাশেই পাটক্ষেতে নিয়ে গিয়ে রাখীকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান মিলন।
হত্যাকাণ্ডের পরদিন রাত ১টার দিকে রাখীর লাশ উদ্ধার করে গুরুদাসপুর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে নাটোরের পিবিআই ও সিআইডি ক্রাইম পুলিশ নিহতের আঙ্গুলের ছাপ ট্রেস করে জানতে পারে তার বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলায়। খবর পেয়ে রাখীর বোন মুরসালীন ও পারভীন লাশ শনাক্ত করেন।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, মিলন ইকবালের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে ঠিকানা নিশ্চিত হয়ে তৃতীয় স্ত্রী তাহমিনার বাবার বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ীগ্রাম থেকে গতকাল শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে গ্রেপ্তার অভিযান চালান ওসি (তদন্ত) মোনোয়ারুল ইসলাম। নিহত রাখীর ভাই মোশারফ হোসেন গুরুদাসপুর থানায় মিলনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তাকে নাটোর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।