জুমবাংলা ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি এক ধরনের সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির এবং শস্য ও খাদ্যসহ আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে মূল্যস্ফীতি বাড়ন্ত, ডলারের বিনিময় হারে অস্থিরতা এবং রেমিটেন্স প্রবাহ কমে যাওয়াসহ সব মিলিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতি নানামুখী চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য-শস্যের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর মানুষ এখন দিশেহারা।
‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: বিশ্ব ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব’ শিরোনামে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেছেন।
আজ (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইউনিভার্সিটির সভাকক্ষে এ সেমিনার অনুুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন। রিসোর্স পারসন ছিলেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (ইউক্রেন) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ইউক্রেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশের প্রতিনিধি ড. মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্বাস আলী খান। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন।
এ বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেন বাহিনীও তাদের প্রতিরোধ শুরু করে। ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। এরই মধ্যে রাশিয়ার ওপর নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে থাকা রাশিয়ার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। রুশ ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন নিষেধাজ্ঞার খাঁড়ায়। ইতোমধ্যে এসব নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারে। বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।