জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশালের বাকেরগঞ্জে চার শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ওই চার শিশু ও তাদের পরিবারকে কঠোর নিরাপত্তা দিতেও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এই আদেশ দেন। এ সময় ধর্ষণের ঘটনায় চার শিশুকে যশোরের পুলেরহাট শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ প্রদানকারী বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহ, ওই চার শিশু ও বাকেরগঞ্জর থানার ওসি মো. আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় চার শিশুকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর ঘটনায় ব্যাখ্যা দিতে বাকেরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহকে তলব করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া বাকেরগঞ্জ থানার ওসিকে ওই চার শিশুর অভিভাবকসহ হাইকোর্টে সশরীরে উপস্থিত হতেও বলা হয়েছিল।
ওই আদেশ অনুসারে রবিবার বিচারক, চার শিশুসহ সংশ্লিষ্টরা হাইকোর্টে হাজির হন। শুনানিতে চার শিশুকে জামিন না দিয়ে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চান বিচারক এনায়েত উল্লাহ। পরে হাইকোর্ট তাকে সতর্ক করে দিয়ে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন। এ ছাড়া বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালামকেও ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ধর্ষণের মামলায় চার শিশুকে গ্রেপ্তার করে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারিত হলে ৮ অক্টোবর রাতে তা আমলে নেন হাইকোর্ট। তখন হাইকোর্ট থেকে এক আদেশে বরিশালের শিশু আদালতের বিচারককে ওই চার শিশুর জামিন নিষ্পত্তি করতে বলা হয়। এ ছাড়া রাতের মধ্যে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মাইক্রোবাসে করে বরিশালের বাকেরগঞ্জে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিতেও আদেশে বলা হয়েছিল।
এরপর বরিশালের শিশু আদালতের বিচারক রাতেই তৎক্ষণাৎ ওই চার শিশুর জামিন মঞ্জুর করেন। এরই ধারাবাহিকতায় চার শিশুকে শুক্রবার ভোরে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়. বাকেরগঞ্জে গত ৪ অক্টোবর ছয় বছরের এক প্রতিবেশী মেয়ে শিশুর সঙ্গে চার ছেলে শিশু বাগানে বসে খেলছিল। এরপর মেয়ে শিশুটিকে তার পরিবার অসুস্থ অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে নিয়ে যায়। এরপর সেই চার ছেলে শিশুকে গত ৬ অক্টোবর আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় মেয়ে শিশুর বাবা ধর্ষণের মামলা করেন। মামলায় চার শিশুকে গ্রেপ্তার করে ৭ অক্টোবর আদালতে হাজির করা হলে তাদের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন বাকেরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহ।
এদিকে শিশুদের স্বজনের অভিযোগ, তাদের শিশুরা ধর্ষক নয়। শত্রুতার জের ধরে তাদের সন্তানদের ফাঁসানো হয়েছে। এরপর এ নিয়ে সময় টিভিতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে হাইকোর্ট আদেশ দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।