সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় এক গৃহবধুকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হাতে, গালে-মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়িয়ে এবং মারপিট করে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে তার চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল নয়টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই গৃহবধুর স্বামী বাদি হয়ে শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম মো. সোহেল (৩৫)। সে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মোঃ রমজান আলীর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল নয়টার দিকে ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী, মা ও বাবা বাড়ির পাশে কৃষি জমিতে কাজ করার উদ্দেশ্যে যায়। সেসময় ওই নারী বাড়িতে একা একা রান্না করতে থাকে। এসময় আগে থেকে উৎ পেতে থাকা চাচাতো ভাই সোহেল (৩৫), ওই গৃহবধুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করে। এ সময় ওই নারী বাধা দিলে তার হাতে, গালে-মুখে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ে দেয় এবং কিল ঘুষি দিয়ে গুরুতর জখম করে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে মুখ ও গলা চেপে ধরে। তার ডাক-চিৎকারে আশপাশের প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। তাদের চিৎকার ও হৈ চৈ শুনে ওই গৃহবধুর স্বামী ও মা এগিয়ে আসলে ধর্ষণ চেষ্টাকারী সোহেল, তার স্ত্রী, মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মিলে ওই গৃহবধু, তার স্বামী ও মাকে লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে।
বর্তমানে ওই গৃহবধু মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া ওই গৃহবধুর স্বামী ও মা সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেয়।।
ভুক্তভোগী ওই নারী দাবি করেন, তার চাচাতো ভাই সোহেল একজন নেশাখোর, বখাটে এবং মাদক ব্যবসায়ী। ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময় সোহেল তাকে বাজে ইঙ্গিত এবং কুপ্রস্তাব দিয়েছে। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আজ সে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করে। বাধা দেয়ায় সোহেল তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়িয়ে গুরুতর জখম করে দেয়।
ওই গৃহবধুর স্বামী জানান, আমি ও আমার শশুর-শাশুড়ি সকালে ক্ষেতে কাজ করতে যাই। এসময় আমার স্ত্রী বাড়িতে একা একা রান্না করতেছিল। সেসময় আমার স্ত্রীর চাচাতো ভাই সোহেল আমার স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করে। আমরা চিৎকারও হৈ চৈ শুনে এগিয়ে আসলে সোহেল ও তার পরিবারের লোকজন মিলে আমাদেরকেও মারধর করে। আমার স্ত্রী বর্তমানে সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমরাও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি। প্রশাসনের কাছে আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমানউল্লাহ বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।