ধর্ষণের পর মৃত ভেবে কিশোরীর সাথে ভয়ানক কাণ্ড

জুমবাংলা ডেস্ক : বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ করেন মোকসেদুল ইসলাম টুকলু (৩১) ও তার দুই সহযোগী। পরে মৃত ভেবে ওই কিশোরীকে পুকুরে ফেলে পালিয়ে যান তারা। এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি টুকলুসহ মাসুদ রানা (২৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১৩)।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে দিনাজপুর সদর উপজেলার সুন্দরা মংলা প্রাইমারী স্কুলের মাঠ থেকে টুকলু ও রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বাড়ি উপজেলার সুন্দরা জুলকাপাড়া ও সুন্দরা গ্রামে। দুজনই র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় মঙ্গলার বাজার এলাকার পাকা রাস্তায় পৌঁছালে ওই তিনজন তাকে তুলে একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে ওড়না দিয়ে কিশোরীর মুখ ও হাত-পা বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে মারধরের পর গণধর্ষণ করে তারা। এ সময় জ্ঞান হারালে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃত ভেবে ধর্ষণকারীরা কিশোরীকে পুকুরের পানিতে ফেলে পালিয়ে যায়।

কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে ওই কিশোরী নিজের বাড়ি ফিরে আসে। পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানালে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তারপরও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়া ও মারধরে গুরুতর আহত হওয়ায় গত মঙ্গলবার কিশোরীকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে পরিবার।

পরে গত বুধবার রাতে স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় টুকলু ও অজ্ঞাতনামা আরও দুজনকে আসামি করা হয়।

র‌্যাব জানায়, ধর্ষণ মামলায় টুকলু এজাহারভুক্ত আসামি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার সহযোগী মাসুদ রানাও গণধর্ষণে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তিনি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তথ্যগুলো পরে জানানো হবে।

র‌্যাব-১৩ দিনাজপুর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১-এর অধিনায়ক মেজর সৈয়দ ইমরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বজলুর রশিদ জানান, র‌্যাব দুজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গণধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছে তারা। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।