জুমবাংলা ডেস্ক : প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করে ফেঁসে গেছেন ওই ভিকটিম ও সাক্ষী দেওয়া দুই নারী। রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত-৩ এর বিচারক মোস্তফা পাভেল রায়হান রোববার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
দুই নারীর নাম- মিতু আক্তার ও নুরুন্নাহার বেগমের বাড়ি তারাগঞ্জ উপজেলার ডারারপাড় গ্রামে। সম্পর্কে তারা মেয়ে ও মা। একই অপরাধে মিথ্যা মামলার বাদী মিতুর বাবা কাজী মিজানুর রহমান এরইমধ্যে কারাবাস করে জামিনে ছাড়া পান।
আদালত মিতুকে ধর্ষণের মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পর মামলার ওই মিথ্যা ধর্ষণ মামলার বাদী, ভিকটিম ও সাক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ১৭ ধারায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলেন মিথ্যা মামলার আসামি একই এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে মামুনুর রহমান।
সূত্র জানিয়েছে, তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ডারারপার গ্রামের কাজী মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৪ জুন তার মেয়ে মিতু আক্তারকে ধর্ষণের অভিযোগে একই গ্রামের খলিল উদ্দিনের ছেলে মামুনুর রশিদসহ তিন জনকে আসামি করে তারাগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তারাগঞ্জ থানার পরিদর্শক মামুনুর রশিদ সব আসামিকে মামলা থেকে অব্যহতি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। একই সঙ্গে ২০০৩ এর ১৭ ধারা মোতাবেক বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ আমলে নিতে আদালতের কাছে সুপারিশ করেন।
মামুনুর রশিদ মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করার জন্য মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম ও মেয়ে মিতু আক্তারকে আসামি করে নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুানল-৩ এ একটি মামলা করেন। এ মামলায় আসামি মিজানুর রহমান দীর্ঘদিন কারাবাস শেষে জামিন পান। এ সময় মিতু আক্তার ও নুরুন্নাহার বেগম রোববার ওই মামলায় আদালতে দাঁড়িয়ে জামিন চান। কিন্তু বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে মেয়ে ও মাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।