জুমবাংলা ডেস্ক : প্রথমে প্রেম, তারপর শারীরিক সম্পর্ক। পরে ধর্ষণের মামলা। এরপর গ্রেফতার হয়ে কারাগারে জায়গা হয় প্রেমিকের। জামিন আবেদন আসে হাইকোর্টে। বিয়ের শর্তে জামিনে রাজি হন আদালত। সম্প্রতি ফেনী ও রাজশাহীর দুটি ধর্ষণ মামলার বিয়ের শর্তে জামিন দেন হাইকোর্ট।
ধর্ষণের সাম্প্রতিক ট্রেন্ড বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ। তেমনি একটি ঘটনা ঘটে চলতি বছর ২৭ মে ফেনীর সোনাগাজীতে। জিয়াউদ্দিন নামের একুশ বছরের এক যুবক ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ান পাশের বাড়ির এক ১৮ বছরের তরুণীর সাথে। করোনা মহামারীতে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে জিয়াউদ্দিনে বিরুদ্দে ধর্ষণের মামলা করে ঐ তরুণী। গ্রেফতার হন জিয়া। ৩০ জুন এ মামলার চার্জশিট দেয় পুলিশ।
সেই মামলায় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন নিতে আসেন জিয়া উদ্দিন। ঐ তরুণীকে বিয়ের শর্তে জামিনের কথা বলে হাইকোর্ট। আর এ বিয়ের আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হয় ফেনী জেলা কারা কর্তৃপক্ষকে।
এর আগেও হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রাজশাহীর এক আসামিকে বিয়ের শর্তে জামিন দেন। অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলছেন, দুপক্ষের দিকে তাকিয়ে সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্তটি দেন আদালত।
এ দুই বিয়ের পরিণতির উপর নির্ভর করছে, ভবিষ্যতে এমন মামলায় জামিন হবে কি না। আর তা নজরেও রাখবেন উচ্চ আদালত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।