জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার সান্তাহার পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত কাউন্সিলর জার্সিজ আলম রতন ও তার ছোট ভাই খায়রুল আলম রবিনকে বহিষ্কার করা করা হয়েছে।
কাউন্সিলর জার্সিজ আলম রতন আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং তার ছোট ভাই খায়রুল আলম রবিন পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য পদে ছিলেন। বুধবার বিকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় তাদের দুজনকে বহিষ্কার করা হয়।
এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি পৌর কাউন্সিলর রতন বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সান্তাহার শহর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর জার্সিজ আলম রতন লিখিত বক্তব্যে বলেন, কাউন্সিলর পদে নির্বাচন নিয়ে তিনি ও তার ভাই রবিন ব্যস্ত থাকলেও দলের বিপক্ষে অবস্থান নেননি। অথচ বুধবার উপজেলা আওয়ামী লীগের অসম্পূর্ণ কমিটির সাধারণ সভায় তাকে (রতন) সহ-সভাপতির পদ থেকে ও ছোট ভাই খায়রুল আলম রবিনকে সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ছাড়া বহিষ্কার বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে পাঠানো হয়েছে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত ই এলাহী কাজল স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কার আদেশকে আত্মঘাতী ও হঠকারী বলেছেন। তাদের এমন সিদ্ধান্ত কখনই গণতান্ত্রিক আচরণ হতে পারেনা।
তিনি অবিলম্বে তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তার ছোট ভাই সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য খায়রুল আলম রবিনসহ ২০-২৫ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত ই এলাহী কাজল জানান, গত ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে সান্তাহার পৌরসভায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সামান্য ভোটে মেয়র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম মন্টু পরাজিত হন।
তিনি দাবি করেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি রতন ও তার ভাই রবিন এবং তাদের লোকজন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান ও ধানের শীষ প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টুর পক্ষে কাজ করেছেন। তদন্তে এর সত্যতা মিলেছে। তাই বুধবার সংগঠনের সভায় রতন ও তার ভাই রবিনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে জেলা আওয়ামী লীগে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
একই মন্তব্য করেছেন, আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।