মানব সভ্যতা এবং বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে পৃথিবীর অভ্যন্তরে অনুসন্ধানের মাধ্যমে আমরা নতুন ধারণা পাই। পৃথিবীর অভ্যন্তরের সম্পর্কে আমরা নতুন কিছু জানতে পারছি। পৃথিবী শুধু তার নিজের অক্ষের চারপাশে ঘুরছে না, বরং এর অভ্যন্তরীণ অংশও আলাদাভাবে ঘুরছে। এই ঘূর্ণনকে “অভ্যন্তরীণ কোর ঘূর্ণন” (ICR) বলা হয়।
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন যে, এই ICR ধীরে ধীরে কমে আসছে।
কারণ:
ICR ধীর হওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে।
- বায়ুমণ্ডলীয় চাপ: বায়ুমণ্ডলীয় চাপের পরিবর্তন পৃথিবীর ভরের উপর প্রভাবিত করে, যার ফলে ICR-এ পরিবর্তন আসতে পারে।
- মহাসাগরীয় প্রবাহ: মহাসাগরীয় প্রবাহের পরিবর্তনও ICR-এ প্রভাব ফেলতে পারে।
- বরফ গলে যাওয়া: মেরু ও হিমবাহের বরফ গলে যাওয়ার ফলে পৃথিবীর ভরে পরিবর্তন আসে এবং ICR কমে যেতে পারে।
- চাঁদের টান: চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর উপর টান প্রয়োগ করে, যা ICR-কে প্রভাবিত করতে পারে।
প্রভাব:
ICR-এর পরিবর্তন পৃথিবীর জলবায়ু, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, এমনকি দিনের দৈর্ঘ্যও প্রভাবিত করতে পারে।
- জলবায়ু: ICR-এর পরিবর্তন বায়ুমণ্ডলীয় প্রবাহকে প্রভাবিত করে, যার ফলে জলবায়ু পরিবর্তনে গতি আসতে পারে।
- সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা: ICR-এর পরিবর্তন সমুদ্রের স্তর পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়।
- দিনের দৈর্ঘ্য: ICR-এর পরিবর্তন দিনের দৈর্ঘ্যকে সামান্য প্রভাবিত করতে পারে।
পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ ঘূর্ণন ধীর হওয়া একটি জটিল বিষয় এবং এর কারণ ও প্রভাব সম্পর্কে এখনও অনেক কিছু অজানা। বিজ্ঞানীরা এই ঘটনা আরও ভালভাবে বুঝতে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।