মোহাম্মদ আল আমিন : : কেবল শহরেই নয় ধীরে ধীরে গ্রাম থেকেও জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি। অথচ একটা সময় ছিলো যখন গ্রামবাংলায় যে কোনও উৎসব-পার্বনে চলতো হা ডু ডু খেলার প্রতিযোগীতা। আসলে এই খেলার জনপ্রিয়তাটাই ছিলো দেখার মতো। প্রাচীন এই খেলা গ্রামের মানুষদের শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা হিসেবে কাজ করত।
বর্তমানে হা ডু ডু আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি পেলেও আমাদের দেশে এই খেলাটি প্রায় বিলুপ্তির পথে। এ প্রসঙ্গে আলাপকালে সেমাইকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম রিপন জুমবাংলাকে বলেন, বছর দশেক আগেও বিদ্যালয়ের বাৎসরিক খেলাধুলা প্রতিযোগিতায় কাবাডি অন্তর্ভুক্ত থাকতো। কিন্তু বর্তমানে এই খেলা একেবারেই জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। হা ডু ডু’র জায়গায় এখন স্থান পেয়েছে ক্রিকেট।
ধারণা করা হয় হা ডু ডু বা কাবাডি খেলার উৎপত্তি ভারতেই এবং ১৯৫০ সালে ভারতীয় জাতীয় ফেডারেশন গঠিত হয়। ১৯৫৩ সালে কাবাডি খেলার আইন প্রণীত হলে ১৯৬০ এবং ১৯৬৬ সালে এ খেলার আইন সংশোধন করা হয়।
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের দুজন কর্মকর্তা পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে ভারতীয় জাতীয় কাবাডি প্রতিযোগিতা দেখতে যান। দেশে ফিরে তারা ‘কাবাডি ফেডারেশন’ গঠন করেন। ১৯৭৪ সালে ‘এশিয়ান অ্যামেচার কাবাডি ফেডারেশন’ গঠিত হলে ১৯৭৮ সালে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও বার্মার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ‘এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশন’ গঠিত করা হয়।
১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে কলকাতায় প্রথম এশিয়ান কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আর সেই সময় বাংলাদেশ রানার্স আপ হলেও ভারত হয়ে যায় চ্যাম্পিয়ন। এখন পর্যন্ত সর্বসাকুল্যে এশিয়ান গেমস প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশের ছেলেরা ৩টি রুপা ও ৩টি ব্রোঞ্জ অর্জন করেন। বর্তমান এ খেলাটি বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, মরিশাস, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার ও আফগানিস্তানে হা ডু ডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।