আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিপাইনের জনবহুল দ্বীপ লুসোনের দিকে ক্রমেই ধেয়ে আসছে শক্তিশালী টাইফুন ‘নোরু’। ম্যানিলা ও কেসোন ছাড়াও ফিলিপাইনের বেশ কিছু বড় শহর এই দ্বীপে অবস্থিত। প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এরই মধ্যে উপকূলীয় এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ। সেদেশের দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, টাইফুন ‘নোরু’ সুপার টাইফুনে পরিণত হয়েছে এবং আগের চেয়েও তীব্রতর হয়ে উঠেছে। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রতি ঘণ্টায় এর বাতাসের গতিবেগ ছিল ১২০ কিলোমিটার (৭৪.৪ মাইল)। আজ সকালে যা বেড়ে হয়েছে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার (১১৫ মাইল)।
একাধিক ব্রটিশ গনমাধ্যম জানিয়েছে, চলতি বছর ফিলিপাইনে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হতে পারে নোরু। ঝড়টি স্থানীয় সময় রোববার রাতে ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের আবাসস্থল ম্যানিলা থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) উত্তর-পূর্বে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে ফিলিপাইনের আবহাওয়া দফতর। তার আগ পর্যন্ত এটি আরও শক্তিশালী হতে থাকবে।এদিকে, সুপার টাইফুন নোরুর প্রভাবে আকস্মিক বন্যা, ভূমিধস এবং জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। স্থানীয় আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, আঘাত হানার সময় নোরুর বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত।
ইতিমধ্যে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে। দেশটির জাতীয় পুলিশ প্রধান জেনারেল রডলফো আজুরিন জনগণকে নিরাপদে সরে যাওয়ার আদেশ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। জেলেদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকি এরই মধ্যে কিছু এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। ফ্লাইট ও ফেরি পরিষেবাও বাতিল করা হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরের ৭ হাজারের বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত ফিলিপাইন ঝড়ের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দেশটিতে টাইফুন ‘রাই’-এর আঘাতে ৪ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। সূত্রঃ আল জাজিরা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।