
জুমবাংলা ডেস্ক : সরকারের সিদ্ধান্তে আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্তি পাওয়ার পর গুলশানে নিজের বাসভবন ‘ফিরোজা’তেই উঠবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
দুই বছর পর খালেদা জিয়ার আগমনের আগাম খবরে শুরু হয়েছে ধোয়ামোছার কাজ। গৃহপরিচারকের কাজে যুক্ত পাঁচজন আর নিরাপত্তারক্ষায় নিয়োজিত ১৬ জনের ব্যস্ততা ফিরেছে ফিরোজায়।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) শেষবেলায় সরেজমিনে বাড়িটি ঘুরে দেখা যায় আশেপাশে স্বল্প সংখ্যক মানুষ ভিড় করছেন। প্রিয় নেত্রীর মুক্তির খবরে ভিড় জমাতে চাইলেও নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন করোনাভাইরাসের বিশেষ পরিস্থিতির কথা ভেবে।
মঙ্গলবার শেষবেলায় ফিরোজার সামনে গেলে নিরাপত্তরক্ষীরা ভেতরে প্রবেশে বাধা দেন যথারীতি। জানান, ভেতরে চলছে ধোয়ামোছার কাজ। তবে বাইরের কারও প্রবেশ মানা।
মঙ্গলবার বিকেলে খালেদার মুক্তির বিষয়ে সরকারের ইতিবাচক অবস্থান ব্যক্ত করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি জানান, খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছেন তিনি। আর এই সময়ে অবশ্যই খালেদা জিয়া তার নিজ বাসভবনে অবস্থান করবেন এবং চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ভাই শামীম ইস্কান্দর বলেন, তার বোন মুক্তি পাওয়ার পর নিজের বর্তমান বাসভবন ফিরোজাতেই উঠবেন।
এদিকে, খালেদা জিয়ার মুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে দলের সিদ্ধান্ত কী হবে, তা এখনও বলতে পারেননি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আমরা মাত্র বিষয়টি জেনেছি। এখনও এ বিষয়ে আলোচনা করিনি। তবে আমরা তো ম্যাডামকে বিদেশে নিতে চেয়েছিলাম। এই অবস্থায় কী করা যায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের কথা তুলে ধরবেন। একইসঙ্গে সরকারের এই সিদ্ধান্ত পরবর্তী করণীয় কী হবে, তা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলবেন। তবে, তা প্রচার হবে অনলাইনে। বিএনপির দলীয় অফিসিয়াল ফেসবুকে তা প্রচার হবে বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


