Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home নওগাঁর ‘গরিবের হোটেল’, টাকা ছাড়াই মিলে খাবার!
    বিভাগীয় সংবাদ রাজশাহী

    নওগাঁর ‘গরিবের হোটেল’, টাকা ছাড়াই মিলে খাবার!

    Saiful IslamOctober 13, 20203 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : নওগাঁ শহরের কোট চত্বরের সামনে ‘হাজী নজিপুর হোটেল অ্যান্ড বিরিয়ানি হাউজ’। ইতোমধ্যেই হোটেলটি নওগাঁবাসীর কাছে গরিবের হোটেল নামে পরিচিতি পেয়েছে।

    প্রতি বৃহস্পতিবার দুপুর হলেই নানা জায়গা থেকে এই হোটেলে এসে বসে পড়েন ছিন্নমূল মানুষ। একবেলা ভালো পরিবেশে ভালো খাবার খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন তারা। দোয়া করেন দু’হাত তুলে হোটেল মালিকের জন্য।

    হোটেল মালিক আলহাজ আলী আজগর হোসেন বলেন, ‘কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে না। নিজের অতীত কষ্টের কথা ভেবে আর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় এমন উদ্যোগ। যতদিন বেঁচে থাকবো, ততদিনই এমন কাজ করে যেতে চাই আমি।’

    আলহাজ আলী আজগর হোসেনের এমন উদ্যোগ প্রশংসা কুড়িয়েছে সব মহলে।

    প্রতি বৃহস্পতিবার দুপুরে শতাধিক দরিদ্র, অসহায় খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ চেয়ার টেবিলে বসে অতিথিদের মতো একবেলা তৃপ্তির সহকারে বিনামূল্যে খান এই হোটেলে। খাবার মেন্যুতে থাকে ডিম, মাছ, মাংস, ডাল ও সবজি। দেখে মনে হবে, কোনো আনন্দঘন অনুষ্ঠান। খাবারের জন্য নেই কোনো হুড়োহুড়ি বা কাড়াকাড়ি। যে যখন আসছেন বসে পড়ছেন খাবারের সারিতে। এভাবেই প্রতি বৃহস্পতিবার চলে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। যাদের ভাগ্যে তিনবেলা ঠিকমতো খাবার জোটে না, তারা এমন খাবার পেয়ে বেজায় খুশি। এখানে বিনামূল্যে এমন ভালো খাবার খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন ছিন্নমূল মানুষেরা।

    খাবার খেতে আসা আলেয়া বেগম বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ, ভিক্ষাবৃত্তি করে চলে জীবন। আমাদের ভাগ্যে জোটে না ঠিকমতো খাবার। মাছ, মাংসতো বছরে একবারও কেনার সামর্থ নেই। আগে বছরে একবার কুরবানির ঈদে মাংস খাইতাম। এখন নিয়মিত এ হোটেলে খেতে আসি। বৃহস্পতিবার অন্য কোনো এলাকায় না গিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভিক্ষা করে দুপুরে এসে কোনো দিন গোস্ত ও কোনো দিন মাছ দিয়ে পেট ভরে ভাত খাই।’

    আব্বাস আলী বলেন, ‘জীবনের অনেক সময় পার করেছি। শেষ জীবনে এসে একা ও অসহায় হয়ে পড়েছি। এখন ঠিকমতো চলা-ফেরাও করতে পারি না। আর ভালো-মন্দ খাবার আশা করাইতো দোষের। সপ্তাহে একদিন এখানে আসি, বাবা একটু ভালো খাবারের আশায়। হাজী সাহেব আমাদের খাওয়ান। এর জন্য কোনো টাকা নেয় না। আল্লাহ্ যেন ওনারে বেহেস্ত নছিব করেন।’

    হোটেল মালিক আলহাজ আলী আজগর হোসেন বলেন, ‘আমি মানুষের ধিক্কার, লাঞ্ছনা-বঞ্চনা খেয়ে বেড়ে উঠেছি। আমি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধি। অভাবের সংসারে পরিবারেও ঠাঁই হয়নি আমার।’

    ‘১৯৯৭ সালে নিজ জেলা নাটোরের সিংড়া থেকে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে নওগাঁতে এসে বসবাস শুরু করি। প্রথমে ২৫ টাকা দিন মজুরিতে কাজ শুরু করি হোটেলে। শারীরিক সমস্যা থাকায় সে কাজও টিকেনি বেশি দিন। অর্থের অভাবে নিজের রক্ত বিক্রি করে নিজের সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে হয়েছে। পরে আমি যে বাসাতে ভাড়া থাকতাম, তার সুপারিশে আবারও হোটেলে থালা-বাসন ধোয়া-মোছার কাজ পাই। সে হোটেল মালিকও একসময় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং হোটেল ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। হোটেল মালিকের সকল ঋণ মাথায় নিয়ে তাকে সাথে নিয়ে আমি নিজেই শুরু করি হোটেলের ব্যবসা। ২ কেজি, ৫ কেজি গরুর মাংস রান্না করে বিক্রি থেকে শুরু করে আমি এই পর্যায়ে। এখন আমার হোটেলে ৩৫ জন কর্মচারী কাজ করে। এর মাঝে হজ্ব করেছি। শহরের বাসা-বাড়ি করেছি। দুই মেয়ে ও এক ছেলে পড়াশুনা করছে।’

    তিনি বলেন, ‘নিয়ত করেছিলাম কখনো যদি অভাব থেকে মুক্ত হতে পারি, তাহলে গরিব-অসহায় মানুষকে খাওয়াবো। আর সেই ইচ্ছা থেকে সাধ্যের মধ্যে গত এক যুগ ধরে গরিব মানুষদের একবেলা খাইয়ে আসছি। কারণ, অভাব কী আমি বুঝি। সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার গরিব অসহায় মানষকে খাওয়ানোর পাশাপাশি অন্যান্য দিনেও যদি কোনো ভিক্ষুক বা অসহায় মানুষ খেতে আসে, তাহলে আমি তাদেরকে খাওয়াই। কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে না। নিজের অতীত কষ্টের কথা ভেবে আর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় এমন উদ্যোগ।’

    হোটেল কর্মচারী সোহেল হোসেন বলেন, ‘হোটেল মালিক আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, যেকোনো দিন যেকোনো সময় গরিব, অসহায় ও অর্থহীন মানুষ যদি খেতে চান, তাহলে তাদের আগে খাবার দেয়ার জন্য। আর আমাদেরও হাজী সাহেব কোনো দিন কর্মচারীর চোখে দেখেন না বা কারো কাছে কর্মচারী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন না। বলেন, আমরা ওনার হোটেলের পার্টনার (অংশীদার)।’

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    Natore

    নৌকায় ডিজে পার্টির প্রস্তুতি, আটক ৫৭ কিশোর

    August 1, 2025
    KUAKATA

    কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এল দুই লাশ

    August 1, 2025
    Tangail

    মাদরাসা শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার

    August 1, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Joyshonkor

    বাংলাদেশের ওপর নিবিড় নজর রাখছি : জয়শঙ্কর

    Natore

    নৌকায় ডিজে পার্টির প্রস্তুতি, আটক ৫৭ কিশোর

    Benzir

    বেনজীরের ডক্টরেট ডিগ্রি স্থগিত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

    NID SIM check

    আপনার এনআইডিতে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন রয়েছে, জানবেন যেভাবে

    shah-rukh-khan

    জীবনে প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পেলেন শাহরুখ

    Saiyaara

    ভারতীয় সিনেমার সর্বোচ্চ আয়কারী প্রেমের গল্প ‘সাইয়ারা’

    কিং খান

    প্রথমবার ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছে কিং খান

    অভিনেত্রী গ্রেফতার

    ভারতীয় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে বাংলাদেশি অভিনেত্রী গ্রেফতার, বেরিয়ে এলো রহস্যময় তথ্য

    Tran

    ছাত্রদলের সমাবেশে অংশ নিতে বিশেষ ট্রেন

    Girls

    আগে করেছেন ৮ বিয়ে, নবম বিয়ের চেষ্টার সময় নারীকে গ্রেফতার

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.