নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর ১১টি উপজেলার মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ৮টি উপজেলায় নতুন করে ৩৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানা হয়েছে। এই ২৪ ঘন্টায় ১৪ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১০টি উপজেলা থেকে মোট ৯১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
নওগাঁর সিভিল সার্জনের দপ্তরে স্থাপিত কন্ট্রোলরুম সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলাভিত্তিক নতুন করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর সংখ্যা হচ্ছে রানীনগর উপজেলায় ১০জন, আত্রাই উপজেলায় ৪ জন, বদলগাছি উপজেলায় ২ জন, পত্নীতলা উপজেলায় ১ জন, ধামইরহাট উপজেলায় ৮ জন, নিয়ামতপুর উপজেলায় ৬ জন, সাপাহার উপজেলায় ১ জন এবং পোরশা উপজেলায় ৬ জন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বুধবার সকাল ১০ পর্যন্ত সময়ে এই নতুন ৩৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এই সময়ে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন নওগাঁ সদর উপজেলায় ১৫ জন, রানীনগর উপজেলায় ৯ জন, আত্রাই উপজেলায় ৯ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় ১৭ জন, মান্দা উপজেলায় ৮ জন, বদলগাছিউপজেলায় ১৫ জন, পত্নীতলা উপজেলায় ৯ জন, নিয়ামতপুর উপজেলায় ২ জন, সাপাহার উপজেলায় ৬ জন এবং পোরশা উপজেলায় ১ জন।
কন্ট্রোলরুম সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩শ ১২ জনকে হোম কোয়ারেনটিনে পাঠানো হয়েছিল। এই সময় পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৯০ জন। বর্তমানে হোমে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৯২২ জন।
এদিকে নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. আ. ম. আখতারুজ্জামান জামান জানিয়েছেন, করোনা রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং সেবা প্রদানের জন্য চিকিৎসক ও নার্সদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম সরবরাহ এসেছে। এসব সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে পিপিই ৫০ সেট, ছোট গ্লোব ১০০ পিচ, মাঝারী গ্লোব ১০০ পিচ, বড় গ্লোব ১০০ পিচ, ৫০এমএল হেকসাসোল ১০০ বোতল, মাস্ক২০০ পিচ, এমওপি ক্যাপ ৫০টি, গাউন ৫০ পিচ, সু-কভার ৫০ পিচ এবং চশমা ৫০টি। এসব সামগ্রী জেলা সদরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতালসহ অন্য ১০টি উপজেলা হাসপাতালে বিতরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে জেলা প্রশাসক মো. হারুন-অর-রশীদ জানিয়েছেন, নওগাঁয় সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয় টিম এসেছে। সেনা সদস্যদের সাথে জেলা প্রশাসনের বৈঠক ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতসহ করোনা প্রতিরোধে যা যা করণীয় তা প্রশাসনের সাথে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে সেনাবাহিনী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।