দীর্ঘদিন ধরে মোবাইলের আর্থিক সেবা প্রদানকারী হিসেবে ব্যবসা করে যাচ্ছে নগদ। সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশন নগদের বিরুদ্ধে ২৩০০ কোটি টাকা জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন আজ নগদের অফিসে অভিযান চালায়।
![Anti-Corruption Commission](https://i0.wp.com/inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2025/02/ba7e6afc489084e9f984766bfc3d7eba2e6a1e7a9dbc146a-jpg.webp?resize=788%2C501&ssl=1)
তাদের এই অফিসটি বনানীতে অবস্থিত। অভিযান চালানোর সময় তারা বেশ কিছু অসংগতি খুঁজে পান। নগদের সাথে ডাক বিভাগের অসম চুক্তির প্রমাণ পাওয়ার দাবি করে দুদক। পাশাপাশি মানে লন্ডারিং এর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
তবে দুদক নথিপত্র বিশ্লেষণ করে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। নগদ আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পট পরিবর্তন করার পর নগদের প্রশাসক পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমান প্রশাসক বদিউজ্জামান দিদার বলেন যে, এ বিষয়টি দুদক তদন্ত করে দেখবে।
চার ঘণ্টার অভিযানে তথ্য মেলে, ডাক অধিদফতরের চুক্তি না মেনে নগদে অতিরিক্ত ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি ইস্যু করা হয়েছে। এছাড়া ভুয়া এজেন্ট দেখিয়ে ১ হাজার ৭১১ কোটি টাকার ফান্ড সরিয়ে নেয়া হয়। পটপরিবর্তনের পর নগদের নবনিযুক্ত প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার বিষয়টি স্বীকার বলেন, মানিলন্ডারিং হয়েছে কি না খতিয়ে দেখবে দুদক।
দুদকের সহকারী পরিচালক তানজীর আহমেদ বলেন, নগদে ৭০ শতাংশের বেশি মালিকানা বিদেশিদের। ফলে বিদেশে অর্থ পাচার হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। সেইসঙ্গে নগদের নেপথ্যে আওয়ামী লীগের কারা কিংবা কাদের প্রভাবে ডাক বিভাগের সঙ্গে অসম চুক্তি হয়েছে, সেগুলোও বিশ্লেষণ করবে অভিযানকারী দল।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।