জুমবাংলা ডেস্ক : ধানমন্ডি লেকে রবীন্দ্র সরোবরের আদলে নজরুল সরোবর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডি হ্রদে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।
মেয়র তাপস বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরে ধানমন্ডি লেককে একটি নান্দনিক লেকে পরিণত করেছেন। ব্যাপক মহাপরিকল্পনা নিয়ে তিনি এটার অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সুন্দর পরিবেশ করে দিয়েছেন। ধানমন্ডি লেককে আরও সুন্দর, নান্দনিক এবং আকর্ষণীয় করার জন্য আমরা পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে কাজ করছি। সংস্কারের জন্য এখন আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে আরও কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আরও কিছু সংস্কারের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘ধানমন্ডি ৩২ থেকে সাম্পান পর্যন্ত নতুন যে জায়গাটি আমরা দখলমুক্ত করেছি, সে জায়গায় এই বরীন্দ্র সরোবরের আদলে নজরুল সরোবর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। শীঘ্রই এটার কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নজরুল সরোবরের নকশা দেখে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নজরুল সারোবরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করবেন বলে আমরা আশা করছি।’
মেয়র বলেন, ‘আমরা সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশনা দিতে চাই, কোনো ভবঘুরে এখানে থাকতে পারবে না। এখানে যে সকল খাবার দোকান রয়েছে রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে তাদের রান্না ঘর বন্ধ করতে হবে। সাড়ে নয়টার পরে কোনো খাবারের অর্ডার নেওয়া ও পরিবেশন করা যাবে না। বাইরের অংশে যে রেস্তোরাঁগুলো আছে, যেমন পানসি ও সাম্পান, সেগুলোর রান্নাঘর রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। আর সপ্তাহে একদিন বুধবার ধানমন্ডি লেকের পুরো এলাকা বন্ধ ঘোষণা করা হলো। বুধবারে কোনোরকম ব্যবসায়িক কার্যক্রম, কেনা-বেচা এখানে হবে না। বুধবারে আমরা সবাই মিলে ধানমন্ডি লেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে টিপ-টপ রাখব। যাতে করে বৃহস্পতিবার থেকে শুধু ঢাকা নয়, সারা বাংলাদেশ থেকে যারা এখানে আসেন, তারা যেন নান্দনিক, সুন্দর ও সবুজ উপভোগ করতে পারে।’
এ সময় ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘আমরা ধানমন্ডিবাসীকে ভালোবাসা দেখাব পরিচ্ছন্নভাবে। সেই হিসেবে আজকে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। এখানে সকাল থেকেই কাজ শুরু হয়েছে। সারাদিন আজকে এখানে অভিযান চলবে। এটা কিন্তু এরকম নয় যে, আজকে শুরু করে কালকে থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। এটা আজকে থেকে শুরু হলো, অন্তত আগামী পাঁচ বছর চলবে।’
আজকের বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ১৭০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী অংশ নেয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।