জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় জাদুঘর, গণগ্রন্থাগার, ঢাবি শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্র (টিএসসি) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নতুন করে নির্মাণ করা হবে। শাহবাগ থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ডিএমসিএইচ) পর্যন্ত গোটা এলাকা দৃষ্টিনন্দন করতে সরকার এখানকার প্রধান প্রধান ভবন ও স্থাপনা নান্দনিক নকশায় নতুন করে নির্মাণ করার লক্ষ্যে ওই চারটি বৃহৎ স্থাপনা নতুন করে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “নতুন স্থাপনাগুলো হবে আন্তর্জাতিক মানের, নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। সেখানে আধুনিক সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকবে।”
টিএসসির উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৬০-এর দশকে টিএসসি যখন নির্মাণ করা হয়, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪ থেকে ৫ হাজার। কিন্তু এখন এর ছাত্র-শিক্ষক সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। এই বিপুল সংখ্যক ছাত্র-শিক্ষকের জন্য আরও বড় জায়গা ও সুযোগ-সুবিধা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এছাড়া টিএসসি মিলনায়তন ও ক্যাফেটেরিয়া বেশ কয়েক দশকের পুরনো। সরকার টিএসসিকে এমনভাবে নির্মাণ করবে, যাতে টিএসসি কমপ্লেক্সে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং এতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যালয়ের স্থান সংকুলান হয়।
টিএসসিতে একটি আন্তর্জাতিক মানের মিলনায়তন নির্মাণ করা হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, টিএসসি কমপ্লেক্স উন্নয়নে ইতিমধ্যে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিএসসি এলাকায় মেট্রোরেলের স্টেশন করা নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ারও আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছাত্র-ছাত্রীদের এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কারণ নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এমন কিছু হবে না। মেট্রোরেল হবে আধুনিক প্রযুক্তির কম্পিউটারাইজড ইলেকট্রিক ট্রেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের অংশটুকু সাউন্ড প্রুফ হবে। শব্দ করে চলে এমন ট্রেন হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়াশোনা করবে, লাইব্রেরিতে যারা পড়বে সেখানে কোনো শব্দ আসবে না।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।